নানা নাটকীয়তার পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা জানায় জাতীয় পার্টি। বিভিন্ন দেন-দরবার ও একাধিক বৈঠকের পর সরকার দলীয় আওয়ামী লীগ থেকে ২৬টি আসনে সমঝোতা করে দলটি। এবার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করলো জাতীয় পার্টি।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে ইশতেহার ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন না দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তাকে ছাড়াই ইশতেহার ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহারে এবারের স্লোগান, শান্তির জন্য পরিবর্তন, পরিবর্তনের জন্য জাতীয় পার্টি। ২৪ দফা ইশতেহারে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায় শিক্ষা, কৃষি, শিল্প, নারী সমাজের কল্যাণ, জলবায়ু ও সুশাসনের দিকে। শিক্ষাপদ্ধতি সংশোধনের জন্য সর্বোচ্চ ১৩টি ব্যবস্থা তুলে ধরা হয়। বেকারত্ব ও নিরক্ষরতা দূরীকরণ, জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে বৃদ্ধি, শিক্ষা উপকরণের দাম কমানোসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর যারা বেকার থাকবে তাদের চাকরি না হওয়া পর্যন্ত সরকারি ভাতা দেয়ারও ঘোষণা আসে ইশতেহারে।
এরপরই উঠে আসে কৃষি কল্যাণ সাধন। যেখানে সর্বোচ্চ ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের কল্যাণে ৯টি ব্যবস্থা তুলে ধরা হয়।
এছাড়াও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে এগিয়ে বাংলাদেশ। সেটিকে প্রাধান্য দিয়ে কীভাবে শিল্প ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধন করা যায় সে বিষয়েও জোর দেয়া হয় ইশতেহারে। দেশের জনসংখ্যার শতকরা অর্ধেক নারী, তাই তো নারী সমাজকে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে মুক্ত এবং বিকশিত করতে ইশতেহারে ৭ কর্মসূচি দেয় জাতীয় পার্টি।
এছাড়াও প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষা, দুর্নীতি অর্থপাচার বন্ধ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ বেশকিছু বিষয় জায়গা পেয়েছে ইশতেহারে। তবে বর্তমানে যখন সরকার ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ইশতেহারে নেই তেমন কিছু।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দেশের এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে। দেশে বিদ্যমান ৮টি বিভাগকে ৮টি প্রদেশে উন্নীত করা হবে। ৮টি প্রদেশের নাম হবে- উত্তরবঙ্গ প্রদেশ, বরেণ্য প্রদেশ, জাহাঙ্গীরনগর প্রদেশ, জালালাবাদ প্রদেশ, জাহানাবাদ প্রদেশ, চন্দ্রদীপ প্রদেশ, ময়নামতি প্রদেশ এবং চট্টলা প্রদেশ।





-320x167.webp)