স্থানীয় এক নাগরিক এখন টেলিভিশনকে বলেন, 'আমি ঐতিহ্যবাহী একটি ব্রিটিশ শপ থেকে আমার দাদা-দাদীর জন্য বড়দিনের উপহার কিনেছি। এই বছর পরিবারের সঙ্গে বড়দিন উদযাপন করবো। পরিবারের সবাই একসঙ্গে হওয়ার জন্য বড়দিন একটি ভালো সময়। সবাই মিলে ডিনারে অংশ নিয়ে অনেক আনন্দ করি।'
ক্রেতাদের চাপ সামলাতে কর্মসংস্থানও কিছুটা বেড়েছে। বাড়তি লাভের মুখ দেখছেন ব্যবসায়ীরা। এক বিক্রেতা জানান, 'এই মুহূর্তে আমরা ব্যবসায় অনেক ব্যস্ত সময় পার করছি। সবাই তাদের পরিবারের জন্য উপহার সামগ্রী কিনছে। বড়দিন ঘনিয়ে আসায় আমাদের বিক্রি প্রতিদিনই বাড়ছে।'
বড়দিনের কেনা-কাটা ব্রিটেনের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে মত অর্থনীতিবিদদের। উপহার দেয়া-নেয়ার রীতিতে যেনো আশীর্বাদ হয়ে ধরা দেয় ক্রিসমাস।
ব্রিটেনের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ ড. মুশফিক উদ্দিন বলেন, 'করোনার সময় থেকে রিটেইল মার্কেটের পারফরম্যান্স খুব বেশি ভালো না। ক্রেতারা হাত খুলে আসলে খরচ করতে পারছে না। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের ক্রিসমাসের সময়ও ক্রেতারা খুব বেশি খরচ করতে পারবে সেটা আমি মনে করছি না।'
শুধু ব্রিটেন নয়, ডিসেম্বরে বড়দিনের উন্মাদনায় মাতে পুরো বিশ্বের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। বছরজুড়ে যত কঠিন জীবন অতিবাহিত হোক না কেন এই সময়টায় এসে আনন্দ উৎসবে মাতেন সবাই।