তবে দুয়েকটি উপনির্বাচন ও কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যতিক্রম ছিল। ভোটের আগের দিন কেন্দ্রে ব্যালটপেপার পাঠালে, এর অপব্যবহার নিয়ে প্রায় প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনেই অভিযোগ উঠেছে। তাই এবার আর আগের রাত কিংবা দিনে কেন্দ্রে ব্যালট পাঠাচ্ছে না ইসি।
আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচন কমিশন থেকে একটি পরিপত্র জারি করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালটপেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এই বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, 'কিছুটা সংশয় কাটাতে ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই সকালে ব্যালট পেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।'
সিইসি বলেন, আমরা অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যতদূর সম্ভব ভোটগ্রহণ শুরুর আগে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। এটা নিয়ে আমরা অনেক চিন্তা-ভাবনা করেছি। তবে কিছু কিছু এলাকায় সকালে পাঠানো সম্ভব হবে না। যেমন দুর্গম ও দূরবর্তী এলাকা, হাওর-বাওর এলাকা অথবা যেখানে জলপথে যেতে হয়। এছাড়া দ্বীপাঞ্চলেও সম্ভব হবে না। এজন্য পরিপত্র জারি করেছি।
ইসির পরিপত্রে আরও বলা হয়, হাওর, পার্বত্য ও যেসব দুর্গম এলাকায় ভোটের দিন সকালে পাঠানো সম্ভব হবে না, সেগুলোর বিষয়ে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনের অনুমতি নিতে হবে।
এদিকে, দুপুর ১ টায় ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন দেখতে চায়। বিএনপি নির্বাচনে এলে ভোট আরো অংশগ্রহণমূলক হতো বলেও মন্তব্য করেন সিইসি।
আগামী নির্বাচনে ঢাকার জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১৬ জনের একটি পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে টোকিও।