মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী অভিযান, বাস্তুচ্যুত কয়েক লাখ মানুষ

0

মিয়ানমারে গত ২৭ অক্টোবর থেকে চলছে ব্রাদারহুড এলায়েন্সের জান্তাবিরোধী অভিযান। তিন বিদ্রোহী বাহিনী মিলে উত্তরাঞ্চলের শান রাজ্যে জান্তার কয়েকশ' ঘাঁটি দখলে নিয়েছে।

এছাড়া এই রাজ্যের ৮ শহর দখলে নিয়েছে তারা। এবার লক্ষ্য লাউক্কাই শহর দখলে নেয়া।

রাখাইন আর চিন রাজ্যে জান্তার ৪৫ ঘাঁটি দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। চিন রাজ্যের ৭ শহর তাদের দখলে। শান রাজ্যের মত সাগাইং, মান্দালয়, মাগওয়ে অঞ্চল আর চিন রাজ্য থেকে জান্তা সেনাদের পুরোপুরি হটিয়ে দেয়ার লক্ষ্য ব্রাদারহুড এলায়েন্সের। কায়াহ রাজ্যেও জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘাত চলছে।

জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীসহ আরও অনেক বিদ্রোহী বাহিনীর একজোট সংঘাতে দেশটির সেনাশাসিত জান্তা সরকার একরকম কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। আদিবাসী সশস্ত্র গোষ্ঠীদের অভিযানে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

চলমান সংঘাতে দেশটির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মিয়ানমারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস দেশটির প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত। এই উৎস এখন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। চলতি বছরই চীন থেকে বিদ্যুৎ আমদানি দ্বিগুণ হয়ে গেছে। জান্তাবিরোধী অভিযানে দেশটিতে জ্বালানি সংকট প্রকট হচ্ছে।

আদিবাসী সশস্ত্র গোষ্ঠী শান রাজ্যের অনেক সীমান্ত ও বাণিজ্যিক রুট দখলে নিয়েছে। যে রুটগুলো দিয়ে চীনের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্য পরিচালিত হতো। এই সংঘাতে গ্যাস উৎপাদন আর জ্বালানি আমদানি কমে গেছে।

এদিকে জান্তা সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের আগে দেশটি থাইল্যান্ড আর চীনে রেকর্ড পরিমাণ গ্যাস রপ্তানি করতো। এখন অর্থনৈতিক সংকটে দেশের মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। এছাড়া বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘাতে টিকে থাকতে সমরাস্ত্রে অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এরই মধ্যে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় গ্যাসের রপ্তানি কমে গেছে। এই অবস্থায় জান্তা সরকার আরও কঠিন সংকটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।