এবার ‘বেস্ট ইনভেনশন্স অব ২০২৩’ এর তালিকায় স্থান পেয়েছে গ্লোবাল স্মার্টফোন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অপ্পো’। ম্যাগাজিনটির এক্সপেরিমেন্টাল ক্যাটাগরিতে অপ্পো ছাড়াও আছে অ্যাপল, স্যামসাং ও সনির মতো প্রতিষ্ঠানসমূহের নাম। যেসব সমস্যা কোনোভাবেই এড়ানো যায় না, সৃজনশীল উপায়ে সেসব সমস্যা সমাধানে জন্য যে পণ্য, সফ্টওয়্যার ও প্রযুক্তিসেবা দেয়া করা হয়, তাদেরকে প্রতিবছর স্বীকৃতি দিয়ে থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহুল প্রচারিত সংবাদভিত্তিক সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিন।
এ স্বীকৃতির ফলাফল হলো দুইশটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। আমরা কীভাবে বাঁচি, কাজ করি এবং কী সম্ভব তা নিয়ে যা চিন্তা করি, সে চিন্তাধারাকে বদলে দিচ্ছে এই্ আবিষ্কারগুলো। প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং অভিনব চিন্তাভাবনার জন্য অপ্পোর আন্তর্জাতিক খ্যাতিতে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে এ স্বীকৃতি।
মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস ২০২৩-এ, অপ্পো জিরো পাওয়ার কমিউনিকেশন প্রযুক্তির প্রথম ব্যাটারিবিহীন আইওটি প্রোটোটাইপ ডিভাইস ‘অপ্পো জিরো-পাওয়ার ট্যাগ’ উন্মোচন করে। আরএফ পাওয়ার হার্ভেস্টিং, ব্যাকস্ক্যাটারিং, এবং লো-পাওয়ার কম্পিউটিং-এর মতো মূল প্রযুক্তিগুলি ব্যবহার করে, এ ট্যাগটি ব্লুটুথ, ওয়াইফাই এবং সেলফোনের সিগন্যাল থেকে সরাসরি শক্তি সংগ্রহ করতে সক্ষম, যার ফলে ছোট আকার, ভালো স্থায়িত্ব, বাড়তি সিগন্যাল রেঞ্জ, এবং কম খরচের মতো অসাধারণ সব সুবিধা পাওয়া যায়।
যাত্রার শুরু থেকেই গ্রাহকের সুবিধা এবং পরিবেশগত দায়িত্বের সংমিশ্রণে অপ্পো যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে, অপ্পো জিরো-পাওয়ার ট্যাগ হলো তেমন একটি পরিবেশ বান্ধব আইওটি ডিভাইস যা ব্যাটারির পরিবর্তে চারপাশের শক্তি ব্যবহার করে ফোনের সাথে যোগাযোগ করে। সামনের দিনগুলোতে, অপ্পো পরিবেশকে টেকসই হতে অবদান রাখতে এবং এর ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এমন উদ্ভাবনী উদ্যোগের বিকাশ অব্যাহত রাখবে বলে মনে করেন অপ্পো’র ওভারসিজ চিফ মার্কেটিং অফিসার এলভিস ঝু।
দীর্ঘদিন ধরেই অপ্পো’র ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং পণ্য ডিজাইনের একটি মূল উপাদান হলো স্থায়িত্ব। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে, অপো গ্লোবাল কনসালটেন্সি ‘ডেলয়েট’র সহায়তায় ‘অপ্পো ক্লাইমেট অ্যাকশন রিপোর্ট’ প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে, অপো প্রথমবারের মতো ২০৫০ সালের মধ্যে এর বিশ্বব্যাপী করা কর্মকাণ্ডে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের অঙ্গীকারের কথা জানায় এবং এই লক্ষ্য অর্জনে পাঁচটি মূল ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে। কম-কার্বন উৎপাদন, পণ্যের কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাস, কম কার্বন উৎপন্ন করে এমন বিকল্পগুলোতে বিনিয়োগ, কার্বন নিঃসরণ কার্যক্রমে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ইন্ডাস্ট্রির মানদণ্ডে সহযোগিতা করা।
চলতি বছর, ‘২০২৩ এসইএএল বিজনেস সাসটেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে ‘অপ্পো ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন’। এর উদ্ভাবনের মাধ্যমে, প্রভাবশালী ব্যবসায়িক মিডিয়া ‘ফাস্ট কোম্পানি’র ‘দ্য টেন মোস্ট ইনোভেটিভ এশিয়া-প্যাসিফিক কোম্পানিস ইন ২০২৩’-য়ে একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে অপ্পো’রও নাম এসেছে।
সকলের জন্য একটি সবুজ ভবিষ্যতের ইচ্ছা নিয়ে, অপ্পো কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্য অর্জনে এর কার্যক্রমের ক্ষেত্রে স্থায়িত্বকে অগ্রাধিকার দেবে এবং ক্রমাগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে আরও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি এবং পণ্য সরবরাহ করার চেষ্টা করছে।