পরিষেবা
অর্থনীতি

উচ্চ বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অসন্তুষ্ট গ্রাহকরা

উচ্চ বিদ্যুৎ বিলের কারণে গ্রাহক অসন্তুষ্টি ৩৭ শতাংশের বেশি। আর ৩ শতাংশের বেশি গ্রাহক দিনে আধঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের শিকার। ১৫ হাজার গ্রাহকের ওপর বিদ্যুৎ বিভাগের জরিপে মিলেছে এসব তথ্য।

শতভাগ বাড়িতেই বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছেছে। চাহিদার চেয়ে উৎপাদন সক্ষমতা এখন প্রায় তিনগুণ। এখন চালু থাকা কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা ২৮ হাজার ৫৬২ মেগাওয়াট। নির্মাণাধীন আরও বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহক সন্তুষ্টি কতটুকু, তা জানতে জরিপ করে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিদ্যুৎ ভবনে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে বিদ্যুৎ বিভাগ। ১৫ হাজার গ্রাহকের মধ্যে চালানো জরিপে দেখা যায়, এখনও দিনে প্রায় আধঘণ্টা থেকে ২ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের ভোগান্তিতে ৩.৩ শতাংশ গ্রাহক। আর বড় অসন্তুষ্টি আছে বিদ্যুৎ বিল নিয়েও। ৩৭.৬৪ শতাংশ গ্রাহক উচ্চ বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অসন্তুষ্ট। অভিযোগ- কল সেন্টারের সেবাপ্রাপ্তি, আচরণ ও দ্রুত সেবা পাওয়া নিয়ে।

এতসব অসন্তুষ্টির ভিড়ে কিছু সন্তুষ্টিও জানান গ্রাহকরা। বিদ্যুৎ বিল অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে দিতে পেরে ৬৯.৮৭ শতাংশ গ্রাহক খুশি। কিন্তু এখনো বড় অংশের গ্রাহক ব্যাংকের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করেন, যার পরিমাণ ৬৮.৩২ শতাংশ।

গ্রীষ্মকালে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের চাহিদা দেখা দেয় উল্লেখ করে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, লোডশেডিংয়ের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তাছাড়া বিদ্যুৎ বিল যেন আগামীতে আরও নির্ভূল হয় তার জন্য ২০২৫ সাল নাগাদ সারা দেশে স্মার্ট মিটার বসানো শেষ হবে।

হাবিবুর রহমান আরও বলেন, গ্রীষ্মের শুরুতে সেচ মৌসুম, রোজা সবকিছু মিলিয়ে প্রত্যেক বছরের এপ্রিলে সাধারণ গ্রাহকের সবোর্চ্চ চাহিদা থাকে। স্মার্ট মিটার বসানো শেষ হলে গ্রাহকের অভিযোগের জায়গাটা আর থাকবে না বলে আশা করি।

বিদ্যুৎ নিয়ে গ্রাহকরা যেন সব ধরনের তথ্য জানতে পারেন তার জন্য নানা মাধ্যমে প্রচার চালানো হবে বলে উল্লেখ করেন সচিব।

এমএসআরএস
আরও পড়ুন:

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর