ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তথ্য মতে, বিশ্বের সবচেয়ে প্রজাতি সমৃদ্ধ সাভানা অঞ্চলগুলোতে গত এক বছরে ১১ হাজার ২২ বর্গ কিলোমিটার বন ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষের চাহিদা মেটাতে এভাবেই প্রকৃতিকে আঘাত করা হচ্ছে বারবার।
ব্রাজিলে ৪০ শতাংশ বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে মানবসৃষ্ট কারণে। প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন কারণে প্রতি বছর লাখ লাখ বর্গকিলোমিটার বন উজাড় হয়েছে।
যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে পৃথিবীর শ্বাসপ্রশ্বাসে। অতিমাত্রায় কার্বন নিঃসরণে দিন দিন বিপদাপন্ন হয়ে উঠছে পৃথিবী। বন উজাড়ের বিরূপ প্রভাব পড়ছে বিশ্ব জলবায়ুর ওপর। বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। হারিয়ে যাচ্ছে প্রাণিজগতের অনেক প্রজাতি।
বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ২১ কোটির বেশি মানুষ ঘরছাড়া হতে পারে।
সেররাডো অঞ্চল ব্রাজিলের চার ভাগের এক ভাগ এবং অ্যামাজন রেইনফরেস্টের প্রতিবেশী। কিন্তু কৃষিজমি ও খামার করার জন্য এই অঞ্চলের প্রায় অর্ধেক গাছপালা কেটে ফেলা হয়েছে।
ব্রাজিলের পরিবেশমন্ত্রী ম্যারিন সিলভা বলেন, অ্যামাজনে বন উজাড়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, এবার সেরাডোতে বন উজাড়ের বিরুদ্ধে একই প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
এদিকে ব্রাজিলের পর বন উজাড়ে এগিয়ে লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ বলিভিয়া।
স্থানীয় গবেষক ভিনসেন্ট ভোসের মতে, বলিভিয়ার গ্রিনহাউস গ্যাসের জন্য মূলত দায়ী দাবানল। আবার আগুনে ধ্বংস হওয়া বন আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়াও সম্ভব হয় না। গত বছর দেশটিতে উজাড় হয়েছে তিন লাখ ৮৬ হাজার হেক্টর বনভূমি।
বেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ভিনসেন্ট ভোস বলেন, বলিভিয়ার বেশিরভাগ বনভূমি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে না। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দাবানলের মতো ঘটনা এখানে ঘটছে।
প্রতিবছর জলবায়ু সম্মেলনে বন উজাড় বন্ধ ও পরিবেশে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন বিশ্বনেতারা। একই প্রতিশ্রুতি নিয়ে আগামীকাল ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুবাই শহরে আয়োজিত হচ্ছে কপ টুয়েন্টি এইট সম্মেলন।