তারমধ্যে প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ৬টি বিশ্বকাপ ট্রফিই অস্ট্রেলিয়ানদের শো কেসে। যার শুরুটা হয় ১৯৮৭ সালে। প্রবল শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা ভারত পাকিস্তানকে ছাপিয়ে কিংবদন্তি অ্যালেন বোর্ডারের অস্ট্রেলিয়া প্রথমবারের মতো জেতে বিশ্বকাপ ট্রফি।
এরপর অজিদের অপেক্ষা করতে হয় এক যুগ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে হট ফেভারিট ছিলো পাকিস্তান। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে তাদের হারিয়ে দ্বিতীয় শিরোপার স্বাদ পায় শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া। ২০০৩ ও ২০০৭ সালে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়ে অজিরা।
৮ বছর পর আবারও অস্ট্রেলিয়া। মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জেতে অস্ট্রেলিয়া।
এবারের বিশ্বকাপে পেট কামিন্সের দল ছিলো না অতোটা আলোচনায়। কিন্তু হট ফেভারিট ভারতকে তাসমান সাগরের দুঃখে ভাসিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ে ৬ নম্বর বিশ্বকাপ জেতে ক্যাঙ্গারুরা।
পৃথিবীর ৬ষ্ঠ বৃহৎ দেশ অস্ট্রেলিয়ার একেকটি শহর বাংলাদেশের কয়েকগুণ বড়। কিন্তু, তারপরও মজার ব্যাপার হলো ৬টি বিশ্বকাপজয়ী দলের ৫ অধিনায়কের মধ্যে ৪ জনই সিডনির। আরেকজন যিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জিতেছেন রিকি পন্টিং, তার জন্মস্থান তাসমানিয়া অঞ্চলের হোবার্ট শহরে।
ক্রিকেটে জন্মের পর একটা ব্যাপার স্পষ্ট। টেস্ট কিংবা ওয়ানডে সর্বত্রই অস্ট্রেলিয়ার রাজত্ব।