সামরিক পণ্য প্রদশর্নীতে নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র দেখতে আসেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এসময় মুসলিম বিশ্বকে ইহুদি রাষ্ট্রের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানান তিনি।
নিজেদের পরমাণু সক্ষমতা গোপনে বাড়ালেও সামরিক সক্ষমতা নিয়ে খুব একটা গোপনীয়তা নেই ইরানের। বেশ ঘটা করেই নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন উন্মোচন করে যাচ্ছে তেহরান। গাজার ইসরাইলে আগ্রাসন, যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইলকে সমর্থন আর মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির মধ্যে নিজেদের সামরিক সক্ষমতায় যেন আরও জোর দিচ্ছে ইরান। এবার অভ্যন্তরীণভাবে তৈরি নিজেদের প্রথম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে তেহরান।
ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পসের এয়ারস্পেস ফোর্সের তৈরি নতুন এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের নাম দেয়া হয়েছে ফাত্তাহ টু। আশুরা এরোস্পেস সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমরাস্ত্রের এই প্রদর্শনীতে দেখানো হয় ইরানের তৈরি গাজা ড্রোনসহ আরও অনেক সমরাস্ত্র। এই প্রদর্শনীতে এসে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি মুসলিম বিশ্বকে ইসরাইলকে সমর্থন না দেয়ার পাশাপাশি তেল আবিবের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বকে পদক্ষেপ নিতে হবে। তেল, জ্বালানি, কোন পণ্যই ইহুদি রাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেয়া উচিত না। রাজনৈতিক সম্পর্কেও লাগাম টানতে হবে। এই অপরাধ বন্ধে সহযোগিতা করা মুসলিম বিশ্বের দায়িত্ব। খামেনি বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব ইসরাইলকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে। কারণ তারা বিদ্বেষ চায়। যদি তারা সহিংসতার বিরোধিতা করতো, গাজা আর ফিলিস্তিনে সেটার প্রতিফলন দেখা যেতো।
ফাত্তাহ টু ক্ষেপণাস্ত্র মূলত একটি হাইপারসনিক গ্লাইড যান। যদিও এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি তেহরান। তবে ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস জানায়, তারা ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে, এমন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করবে। প্রদর্শনীতে দেখানো হয় শাহিদ সিরিজের আকাশযান, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, উন্মোচন করা হয় নতুন মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম মেহরান।
ইরান জানায়, ফাত্তাহ টু নামের নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক শক্তিশালী হয়ে প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতের সক্ষমতা রাখে। খুব কম দেশই এসব ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনা করতে পারে। তেহরান বলছে, অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমে যুক্তরাষ্ট্র আর ইসরাইলকে ছাড়িয়ে যাবে তারা। ইরানের দাবি, বিশ্বে গুটিকয়েক দেশের কাছে আছে এই প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র।