মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

গাজায় ত্রিমুখী হামলা আরও জোরালো করলো ইসরাইল

Shahinur Sarkar

দাবি করা হচ্ছে গাজার উত্তরে হামাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। তবে ইসরাইলি বাহিনীকেও ছাড় দিচ্ছে না হামাস।

বন্দুকের নল উঁচিয়ে গাজায় প্রাণনাশী খেলায় মেতেছে ইসরাইলি বাহিনী। একইসঙ্গে আকাশ থেকে বিমান হামলার তীব্রতাও বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। উপকূলীয় জলসীমা থেকেও চালানো হচ্ছে নৃশংস হামলা। এমন আগ্রাসী অভিযানে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর ৪০ শতাংশই শিশু।

গাজার উত্তর ও মধাঞ্চলে হামলা জেরালো হওয়ায় দক্ষিণের পথে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। নিরাপদ আশ্রয়ে দক্ষিণে গিয়েও রেহাই মিলছে না, গাজাবাসীর। এদিকে, লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহ'র সঙ্গেও তুমুল লড়াই চলছে ইসরাইলের।

এ অবস্থায় ইসরাইলি বাহিনীকে এতটুকোও ছাড় দিচ্ছেন না হামাস যোদ্ধারা। পাল্টা হামলায় দিশেহারা করে তুলছেন দখলদারদের। স্থল অভিযানে এখন পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি ইসরাইলি সেনা নিহত এবং ২৬০ জনের বেশি সেনা আহত হয়েছে।

গাজায় এমন টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেও নিজেদের শক্ত অবস্থান তুলে ধরতে মরিয়া ইসরাইল। এরইমধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দাবি করছে আইডিএফ।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, 'আমরা ৫০ হাজার বাসিন্দাকে গাজা উপত্যকার উত্তর থেকে দক্ষিণে চেলে যেতে দেখেছি। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে যে এখানে হামাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে এবং দক্ষিণ তাদের জন্য নিরাপদ। যেখানে তারা ওষুধ, পানি ও খাবার পাবেন।'

চলমান যুদ্ধে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ও গাজার নিয়ন্ত্রণকারি গোষ্ঠী হামাস, উভয়কেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার টার্ক। তিনি বলেছেন, 'নিরীহদের জিম্মি করে হামাস যেমন যুদ্ধাপরাধ করেছে তেমনি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলাও যুদ্ধাপরাধের সমান। ইসরাইলে বোমা হামলায় নারী ও শিশু নিহতসহ অনেকে পঙ্গু হচ্ছেন। গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ হাজার ৫শ' ছাড়িয়ে গেছে। যার মধ্যে ৪ হাজার ৩শ' শিশু এবং ২ হাজার ৮শ' নারী রয়েছেন।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৫৩ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর এই প্রথম মধ্যপ্রাচ্যের আল-আকসা অঞ্চলে এমন সংঘাত চলছে। হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করার আগ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরাইল।


এসএসএস

আরও পড়ুন:

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর