মাগুরায় সরিষা চাষের সঙ্গে বাড়ছে বাণিজ্যিক মধু আহরণ

গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
0

মাগুরায় দিন দিন বাড়ছে সরিষা চাষ। সরিষা খেতের পাশেই বাণিজ্যিকভাবে মধু আহরণ করছে মৌয়ালরা। মৌমাছির বাক্স স্থাপনে সরিষার ফলন বাড়ার পাশাপাশি কৃষকরা পাচ্ছে বাড়তি সুযোগ সুবিধা। কৃষকরা যেমন লাভবান হচ্ছে তেমনি মৌ খামারে কর্মসংস্থান হচ্ছে বেকারদের। তবে, পরিকল্পিত বাজার ব্যবস্থা না থাকায় বাণিজ্যিকীকরণে কিছুটা বেগ পেতে হয়। তবে মৌয়ালদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।

মাগুরা সদরের মঘী, মালঞ্চী, বেঙ্গা-বেরোইল, রাঘবদাইড়, শালিখার ধনেশ্বরগাতীসহ বেশ কিছু ইউনিয়নে মাঠে মাঠে চোখে পড়ে হলুদের সমারোহ, দোল খায় সরিষার ফুল। পাশ দিয়ে হাঁটলেই কানে বাজে মৌমাছির গুণগুণ আওয়াজ।

ক্ষেতে শতশত মৌ-বাক্স স্থাপন করে চলছে মধু সংগ্রহের কাজ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মৌ-চাষীদের পদচারণায় মুখর সরিষার মাঠগুলো। হাজার হাজার মৌমাছিরা সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে বাক্সে জমা করে। আর মৌ-চাষীরা প্রতি সপ্তাহে বাক্সগুলো থেকে বিশেষ কায়দায় মধু সংগ্রহের পর প্রক্রিয়াজাত করে বাজারে বিক্রি করেন।

স্বল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ার পাশাপাশি সরিষা চাষের ক্ষেত্রে কৃষকরা বাড়তি কিছু সুবিধা পাওয়ায় কদর বাড়ছে মৌ বাক্সের। আর প্রতি মৌসুমে মৌ খামারে কাজ করে কর্মসংস্থান হচ্ছে বেকার যুবকদের।

তবে, বিক্রির ক্ষেত্রে মধু পরিবহনে পুলিশি হয়রানি ও উৎপাদিত মধুর নির্দিষ্ট বাজার না থাকাসহ রয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। জেলা কৃষি কর্মকর্তা জানালেন, উন্নত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সব ধরনের সহযোগিতা নিয়ে মৌ চাষীদের পাশে আছে কৃষি বিভাগ।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, ‘মৌ বাক্স প্রদান ও মধু প্রক্রিয়াজাতকরণ যন্ত্র আমরা কৃষকদের সরবরাহ করছি এবং কৃষকদের মধু উৎপাদনের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কীভাবে বিশুদ্ধ ও নিরাপদ মধু উৎপাদন করা যায় সে বিষয়েও পরামর্শ দিচ্ছি।’

চলতি মৌসুমে জেলায় মধু সংগ্রহ করার লক্ষ্যে ৬ হাজার ৮৫০টি মৌ বক্স বসানো হয়েছে। এতে প্রায় ২০ হাজার কেজি মধু উৎপাদন হবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ। প্রতি কেজি মধু পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩শ' থেকে ৪ শ' টাকা দরে।

এএম