গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
ফেনীতে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পাকা ধান
ফেনীতে বৃষ্টি ও কালবৈশাখীর তাণ্ডবে খেতের কাদা পানিতে নুয়ে পড়েছে পাকা বোরো ধান। এমন অবস্থায় ফলনের অর্ধেক ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কি-না সে শঙ্কা কৃষকের মনে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে বেশিরভাগ ধান পেকে যাওয়ায় চিটা হওয়ার শঙ্কা নেই।

ফেনী সদর উপজেলার ইলাশপুর গ্রামের ষাটোর্ধ কৃষক শফিউল্লাহ। ৮০ শতক জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করেছিলেন বোরো ধান। সব মিলিয়ে খরচ প্রায় ৫০ হাজার টাকা। অনুকূল আবহাওয়ায় ভালো ফলন দেখে করেছিলেন লাভের আশা। তবে সোমবারের কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির কারণে কাদা পানিতে নুয়ে পড়েছে পাকা ধান। এখন ফলনের অর্ধেক ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কি-না সেই দুশ্চিন্তা তার।

তিনি বলেন, 'জমির মধ্যে ৫০-৬০ হাজার টাকা যা খরচ করছি, বৃষ্টি সব নিয়া গেছে। এখন কী করে সংসার চালামু এইটাই ভাবতাছি।'

শফিউল্লাহর মতো একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জেলার সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম ও দাগনভূঁঞাসহ বিভিন্ন এলাকার শত শত কৃষক।

চাষিরা বলেন, জমির বেশিরভাগ ধান নষ্ট হবে। কিছু ধান কাটা যাবে। আর বাকিগুলো কাটা যাবে না। আমাদের অনেক লোকসান হবে। আমরা কী করবো বুঝতে পারতেছি না। আগে যা খরচ হওয়ার হইছে, এখন খরচ আরও বেশি লাগবো।

কৃষি বিভাগ জানায়, জেলার ৮০ ভাগ ধান পেকে যাওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম হবে। তবে বাড়বে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের খরচ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একরাম উদ্দিন বলেন, 'আমরা কৃষকদেরকে এ সমস্ত ধান কেটে ফেলার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। কারণ যতদ্রুত এ ধান কেটে ফেলা যাবে তত ক্ষতির সম্ভাবনা কমবে।'

চলতি মৌসুমে জেলায় ৩১ হাজার ২৭৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। যেখান থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ৮২০ টন ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।

এভিএস