৯ ডিগ্রি থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করায় বীজতলার গোড়ায় দেখা দিয়েছে পচন রোগ। লালচে আকৃতি ধারন করেছে বোরোর চারা।
উত্তরের জেলা নীলফামারীতে এবার ৮১ হাজার ৮শ' ৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে, শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশায় বীজতলা রোপণ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা। বীজতলা বাঁচাতে নিয়মিত কীটনাশক ও ওষুধ ব্যবহার করছেন তারা।
রিরূপ প্রভাব পড়েছে ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষিতেও। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা। রোপন করা ধানের চারাও কুকড়ে যাচ্ছে শীতে। ঠাণ্ডার প্রভাবে মাঠে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। এতে অনেকটাই দিশেহারা এই অঞ্চলের কৃষকরা।
বরিশালেও তীব্র শীত অনুভূত হওয়ায় ফসলি মাঠের পাশাপাশি ক্ষতি হচ্ছে শাকসবজির। সূর্যের দেখা না মেলায় কুয়াশাচ্ছন্ন সবজি বাগানে পরিচর্যা করতে পারছেন না কৃষকরা।
একজন জানান, 'শীতের কারণে আমরা পরিচর্যা করতে পারি না। এ কারণে শাক-সবজি সব নষ্ট হয়ে যাইতেছে।'
আরেক কৃষক জানান, 'কুয়াশাজনিত একটা রোগ আছে। এই রোগে টমেটোর ক্ষতি হইতে পারে।'
নোয়াখালীতে এবার ৭৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, তীব্র শীতে এই অঞ্চলেও ক্ষতি হচ্ছে বীজতলার। একই পরিস্থিতি কুড়িগ্রামেরও।
এমন পরিস্থিতিতে, কৃষকদের নানা পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। বিশেষ করে রাতে পাতলা পলিথিনে বীজতলা ঢেকে দিয়ে, দিনে তা সরিয়ে ফেলার কথা বলছেন কৃষি কর্মকর্তারা।