কৃষি
0

চুয়াডাঙ্গায় শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষক

আগাম শাকসবজি বাজারে তুলতে পারলেই দামও ভালো মেলে। তাই শীতের সবজি চাষে ব্যস্ত চুয়াডাঙ্গার কৃষকেরা। কৃষি বিভাগ বলছে, আগামসহ সব ধরনের সবজি চাষে কৃষকদের সহায়তা দিচ্ছেন তারা।

শীত মৌসুমের বাকি আর মাসখানেক। এরই মধ্যে চুয়াডাঙ্গার মাঠে মাঠে ধুম পড়েছে মুলা, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজরসহ নানা রকম শীতের সবজি চাষের। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সবজির বাজার চড়া। তাই আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলনও লাভের আশা করছেন কৃষকরা।

মৌসুমের শুরুতে বাজারে ফসল তুলতে পারলে দামও মেলে ভালো। তাই মাঠে বাড়তি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকরা।

কৃষকদের মধ্যে একজন জানান, একটু আগাম চাষ করলে লাভবান হওয়া যায়। শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি এই সবজিগুলো আগাম চাষ করা হয় দুটো পয়সা পাওয়ার জন্য।

চুয়াডাঙ্গা জেলায় চাহিদা মিটিয়ে আমরা বাইরেও বিক্রি করতে পারবো সেই চেষ্টায় আছি বলেও জানান একজন কৃষক।

সাধারণত তিন ধাপে শীতের সবজি আবাদ হয়। এরমধ্যে শীতের আগে থেকে শুরু করে মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ভালো দাম পেলেও শেষের দিকে নামতে থাকে সবজির মান ও দাম। তাই আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে শীতের সবজি আবাদ করেন কৃষকরা।

আরোও একজন কৃষক জানান, ফলনটা বেশি হলে অগ্রীম জিনিসের দাম পাওয়া যায় বেশি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, সবজি চাষ ও চারা উৎপাদনে জেলার কৃষকরা অভিজ্ঞ। তারপরও তাদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, 'এই বাজার পাওয়ার কারণে তারা উৎসাহিত হচ্ছে আগাম সবজি উৎপাদনে। আশা করছি এটির পরিমাণ দিন দিন বাড়বে। এই আগাম সবজি আবাদের ক্ষেত্রে আমাদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা নিরলসভাবে কৃষকের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।'

চলতি মৌসুমে জেলায় শীতকালীন সবজির উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৮১ হাজার টন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ হাজার কোটি টাকা।