আমন মৌসুমে ৪৩ টাকা কেজি দরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৮ হাজার ৭০৩ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সরকার। গত ২৩ নভেম্বর শুরু হওয়া সংগ্রহ অভিযানের স্বাভাবিক সময়সীমা শেষ হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি।
তবে আশানুরূপ চাল সংগ্রহ না হওয়ায় ১০ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। এ সময়ের মধ্যে সংগ্রহ হয়েছে ৬ হাজার ৮৬ টন আতপ চাল। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ৬১৭ টন কম।
জেলার ৩০টি চালকলের সঙ্গে চুক্তি করে খাদ্য বিভাগ। মূলত আশুগঞ্জ মোকামের ধান থেকে চাল তৈরি করে গুদামে দেন চালকল মালিকরা। তবে মৌসুমজুড়ে মোকামে ধানের সরবরাহ কম থাকায় দাম ছিল চড়া। ফলে সরকারের দামে চাল দিতে গিয়ে লোকসানে পড়েন চালকল মালিকরা।
চালকল মালিকদের দাবি, আমন মৌসুমের ধান থেকে আতপ চাল কম হয়। সেজন্য লোকসানও গুনতে হয় বেশি। তবে লোকসান দিয়েও যারা গুদামে চাল দিয়েছেন- তাদেরকে প্রণোদনা দেয়ার দাবি চালকল মালিক সমিতির।
চালকল মালিক বলেন, 'আমন ধান দিয়ে আতপ চাল সাধারণত পত্তা মিলে না। আতপের মৌসুম হলো মূলত বোরো মৌসুম। বোরো ধান দিয়ে আতপ চাল ভালো হয় পত্তাও মিলে।'
জেলা চালকল মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ বলেন, 'আমরা যারা সিদ্ধ আতপ দিয়েছি যদি আমাদেরকে সরকার একটা প্রণোদনা দেয়, সেক্ষেত্রে আমরা অনেক উপকৃত হবো। আমাদের অনেক লস হয়ে গেছে।'
খাদ্য বিভাগ বলছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আতপের ভোক্তা কম থাকায় সংগ্রহ করা চাল চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। তবে ঘাটতির কারণে বিতরণ কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়বে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আলমগীর কবির বলেন, 'ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে আতপ ভোক্তা নেই। আমরা আতপ কিনি যেসকল অঞ্চলে আতপ ভোক্তা রয়েছে সেকল অঞ্চলে পাঠিয়ে দেয়। এটা সরকার হয়তো সমন্বয় করবে।’
চুক্তি করা হলেও যেসব চালকল মালিকরা কোনো চাল দিতে পারেননি- পরবর্তী মৌসুমে তাদের সঙ্গে চুক্তি না করার পাশাপাশি কালো তালিকাভুক্ত করার কথা জানিয়েছে খাদ্য বিভাগ।