ফলন ভালো হলেও মিষ্টি কুমড়ার ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না চাঁদপুরের কৃষকরা

কৃষি
এখন জনপদে
0

চলতি বছর চাঁদপুরে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় ফলনও হয়েছে বাম্পার। কিন্তু ন্যায্য মূল্য না পেয়ে লোকসানে ফসল উৎপাদনে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক। এদিকে, কুমড়ার ভালো দাম পেতে কিছু দিন সংরক্ষণের পর বিক্রি করার পরামর্শ কৃষি বিভাগের।

চাঁদপুর হাজীগঞ্জের দক্ষিণ বলাখাল গ্রামের কৃষক মো. জসিম। গেল বছর মিষ্টি কুমড়ার ভালো দাম পাওয়ায় চলতি বছরও ৯৬ শতাংশ জমিতে করেছিলেন আবাদ। বীজ, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি মিলিয়ে আবাদে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭২ হাজার টাকা। তবে, উৎপাদন শেষে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে আয় হয়েছে মাত্র ৫২ হাজার টাকা। ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লাভের বদলে উল্টো গুণতে হয়েছে লোকসান।

গেল বছর মাঠ পর্যায়ে কৃষকরা প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছেন ১৫-২০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু চলতি বছর বাম্পার ফলন হলেও ফসল বিক্রির জন্য কাঙ্ক্ষিত পাইকার পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে বাধ্য হয়ে ৮-১০ টাকা দরে কুমড়া বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।

প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা কুমড়ার ভালো দাম না পেলেও খুচরা বাজারের চিত্র ভিন্ন। উৎপাদক পর্যায়ে কেজি প্রতি ১০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া মিষ্টি কুমড়া স্থানীয় খুচরা বাজার থেকে ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। এতে করে, যে কৃষক কষ্ট করে আবাদ করে সে ন্যায্য মূল্য না পেলেও ভারী হচ্ছে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের পকেট।

কৃষি বিভাগের পরামর্শ, কুমড়ার ভালো দাম পেতে কিছু দিন সংরক্ষণের পর বিক্রি করার।

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কৃষক বলেছে তারা বাজার মূল্য সর্বোচ্চ দশটাকা পাচ্ছে। আমরা পরামর্শ দিয়েছে মিষ্টি কুমড়াগুলোকে যদি আপনারা সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন সেক্ষেত্রে ভালো বাজার মূল্য পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এতে তারা নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।’

কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর চাঁদপুরে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কৃষক ১ হাজার ১শ' ৩৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষাবাদ করেছেন। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪০ ভাগ বেশি। এবছর প্রায় ২৫ হাজার মে.টন মিষ্টি কুমড়া উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

এএম