কাক ডাকা ভোর শুরু হয় গাছিদের তোড়জোড়ে। কুয়াশা আর কন কনে শীত উপেক্ষা করে রস আহরণে ব্যস্ত তারা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা গাছিরা কাজ করেন মাগুরায়। ঝুপড়ি ঘর বেঁধে সংগৃহীত রস থেকে গুড় পাটালী তৈরি করছেন তারা।
শীতে পিঠাপুলির পাশাপাশি এবার খেজুরের গুড় বা পাটালি দিয়ে নতুন আঙ্গিকে তৈরি হচ্ছে প্যারা সন্দেশ, চমচম, রসগোল্লা, হাড়ি ভাঙাসহ নানা ধরনের মিষ্টি। মাগুরার এ মিষ্টির সুখ্যাতি থাকায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কুরিয়ার বা অনলাইনেও খেজুরে রসের মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে। আর চাহিদা বেশি থাকায় দামও ভালো পাচ্ছেন কারিগররা।
খেজুর গাছের অর্থনৈতিক উপযোগিতার কারণে প্রতিবছর নতুন গাছ লাগানোর পাশাপাশি গাছিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, ‘নিরাপদ খেজুরের গুড় উৎপাদনে বিভিন্ন সময় কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। এজন্য আমাদের খেজুরের গাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।’
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে মাগুরায় ২০০ হেক্টর জমিতে প্রায় ১ লাখ ৫০০০ গাছ লাগানো হয়েছে। খেজুর গাছের সংখ্যা বাড়ায় এ বছর প্রায় আড়াই হাজার টন গুড় উৎপাদনের আশা কৃষি বিভাগের। যার বাজার দর প্রায় ৮০ কোটি টাকা।