সরিষার ফুলে ফুলে ভরে আছে মানিকগঞ্জের বিস্তীর্ণ প্রান্তর। হলুদ ফুলে সেজেছে মাঠের পর মাঠ।
প্রতিবছর শীতের এই সময়ে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহে মানিকগঞ্জে ছুটে আসেন বিভিন্ন জেলার মৌ খামারিরা। এবারও খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরাসহ আশপাশের জেলা থেকে মধু সংগ্রহে মানিকগঞ্জে এসেছেন ৮৬ জন মৌয়াল। সরিষা ক্ষেতের পাশে বাক্স বসিয়ে সংগ্রহ করেন মধু। মৌসুমে অন্তত ৬ থেকে ৭ বার মধু পাওয়া যায়। খাঁটি মধু পেতে ভিড় করেন ক্রেতারাও। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মধু বিক্রি হয় সাড়ে ৩শ' থেকে ৪শ' টাকা দরে।
কৃষি বিভাগ বলছে, সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহের কারণে সরিষার ফলন বাড়ে। এ বছর মানিকগঞ্জ থেকে প্রায় চার কোটি টাকার মধু আহরণের আশা কৃষি বিভাগের।
মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ বলেন, ‘যেসব মাঠে মধু বাক্স স্থাপন করা হয়েছে এবং মৌ মাছি আনা গোনা করছে, সেসব মাঠে উৎপাদন ২৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়বে। মধু শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত পাইকারি ক্রেতাদের সঙ্গে স্থানীয় মৌয়ালদের একটা সংযোগ স্থাপনের করার লক্ষ্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যাতে তারা ন্যায্য মূল্য পায়।’
চলতি বছর মানিকগঞ্জে ৬৩ হাজার ২ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। সরিষা চাষকে কেন্দ্র করে মধুর উৎপাদন সম্ভাবনাময় শিল্পে পরিণত হয়েছে। যা অনেককে স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি সমৃদ্ধ করেছে গ্রামীণ অর্থনীতিকে।