কৃষি
এখন জনপদে
0

মেহেরপুরে আলুর বাম্পার ফলন সত্ত্বেও ভালো দাম পাচ্ছে না কৃষক

মেহেরপুরে আলুর বাম্পার ফলন হলেও দাম না পেয়ে হতাশ কৃষক। বিঘায় ৮০ মন করে আলু উৎপাদন হলেও তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকায়। অথচ প্রতিবিঘা আলু উৎপাদন করতেই খরচ হয় ৪৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। সে হিসেবে প্রতিবিঘায় একজন কৃষককে আলুতে লোকসান গুনতে হবে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা করে।

প্রতিবছর শীতের শুরুতে আলু রোপণ করে তোলা হয় জানুয়ারির শেষ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। চলিত মৌসুমের আলু মাঠ থেকে তুলে বাজার জাত করা শুরু হয়েছে।

চলতি মৌসুমে আলুর বীজ সংকটে দাম ছিল দ্বিগুণ। পাশাপাশি সার, কীটনাশক ও অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ। প্রতিবিঘা জমিতে আলু চাষ করতে খরচ পড়েছে ৪৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। খরচ বাড়লেও উৎপাদন ভালো হওয়ায় লাভের আশা ছিল কৃষকদের। কিন্তু হঠাৎ দাম পড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় চাষিরা। গত কয়েক সপ্তাহ আগেও মেহেরপুর বাজারে প্রতি মন আলু বিক্রি হয়েছে ১৬শ থেকে ১৭শ টাকায়।যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৬শ টাকায়। মাঠের দাম আরো কম। প্রতি বিঘা আলু বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকায়। এতে বিঘায় লোকসান ১০ হাজার টাকা। ভরা মৌসুমে লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে ন্যায্য দাম নিশ্চিত করার দাবি কৃষকদের।

দাম কম হলেও উৎপাদন ভালো হওয়ায় লোকসান পুষিয়ে নেয়া সম্ভব বলছে কৃষি বিভাগ।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃঞ্চ হালদার বলেন, ‘সব ফসলই উৎপাদন মৌসুমের শুরুতে দাম একটু কমে আসে। আমাদের চাষিদের দাবি আরো দাম বেশি পেলে তাদের জন্য ভালো হতো। এতে তাদের লাভটা থাকবে এবং উৎসাহিত হবে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে চলতি মৌসুমে জেলায় আলু চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯শ ৩০ হেক্টর জমিতে। তবে উৎপাদন হয়েছে ১১শ ১৫ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে প্রায় ২শ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২৫ মেট্রিক টন হলেও উৎপাদন হয়েছে ২৭ হাজার ৮শ ৭৫ মেট্রিক টন।





এএম