এখন জনপদে , কৃষি
দেশে এখন
0

শেরপুরে মটরশুঁটি চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

অন্যান্য ফসল চাষের পাশাপাশি শেরপুরে মটরশুঁটি চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। চলতি বছর শেরপুর জেলায় ৬০ হেক্টর জমিতে মটরশুঁটির আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, খরচ কম ও লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই বাড়ছে এই ডাল জাতীয় ফসলের চাষ।

শেরপুর সদরের চরখারচর গ্রামের কৃষক আল-আমিন। সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় প্রথমবার এক বিঘা জমিতে মটরশুঁটি চাষ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় খরচ বাদ দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভের আশা তার।

চলতি মৌসুমে শেরপুর জেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে মটরশুঁটির আবাদ হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের আশা কৃষকদের।

কৃষি বিভাগ বলছে, ডাল জাতীয় ফসল চাষে খরচ কম হয়। এছাড়া একই জমিতে এক ফসল বারবার চাষ করলে জমির উর্বরতা হারিয়ে ফসল উৎপাদন কম হয়। এতে একদিকে যেমন ফসলের ফলন কমে অন্যদিকে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের নতুন নতুন ফসল চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

শেরপুর সদরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ আনোয়ার বলেন, ‘মটরশুঁটি চাষে সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ আমরা কৃষি বিভাগ হতে দিয়ে যাচ্ছি। আগামীতে টমেটো সরিষা ভুট্টার পাশাপাশি অল্প দিনের ফসল হিসেবে মটরশুঁটি এটা তারা ব্যাপক আকারে করার জন্য কৃষকরা প্রস্তুতি নিয়েছে। ’

বাজারে চাহিদা ভালো থাকায় এবং ভালো দাম পাওয়ায় আগামী মৌসুমে মটরশুঁটি চাষ আরও বাড়ার আশা এ কৃষি কর্মকর্তার।

শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা কৃষকদের এই সম্ভাবনার ফসলটি চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। এছাড়া চর অঞ্চলের একটি প্রকল্প রয়েছে, তার মাধ্যমে আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করছি।’

উন্নত জাতের মটরশুঁটি রোপণের ৮০ থেকে ৯০ দিন পর ফসল সংগ্রহ করা যায়। বিঘাপ্রতি ফলন হয় ৪০ থেকে ৫০ মণ। বাজারে প্রতি মণ মটরশুঁটি বিক্রি হয় ২৮শ থেকে ৩ হাজার টাকায়।







এএম