দেখতে পরিত্যক্ত বাড়ির মনে হলেও, এগুলো আখাউড়া শুল্ক স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসনের জন্য বরাদ্দ করা ভবন। ৫০ বছরেরও বেশি সময় আগে নির্মিত ভবনগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই।
জরাজীর্ণ ভবনে ফাটল ধরাসহ খসে পড়েছে পলেস্তরা। সামান্য বৃষ্টিতেই স্যাঁতস্যাঁতে ভবনগুলোর ভেতরে ঢোকে পানি। রয়েছে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব। যে কোনো সময় ভেঙে পড়ার আতঙ্ক নিয়েই পরিবার নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে বসবাস করছেন সরকারি কর্মচারীরা।
সরকারি কর্মচারীদের একজন বলেন, ‘আমাদের যে আবাসন রয়েছে সেগুলো অনেক প্রাচীন। এখানে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ আমাদের জন্য।’
পুরনো ভবনগুলোতে নেই আধুনিক সুযোগ-সুবিধাও। এমন অবস্থায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই উঠেছেন ভাড়া বাড়িতে।
আরেকজন বলেন, ‘দ্রুত আবাসনের ব্যবস্থা করলে আমরা এখানে থাকতে পারবো।’
সরকারি ভবন রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত গণপূর্ত বিভাগ বলছে, ৬০ বছর আগের প্রযুক্তিতে নির্মিত ভবনগুলোতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা যাচ্ছে না। তবে, আবাসন সংকট নিরসনে সংস্কারসহ নতুন বহুতল ভবন নির্মাণে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, ‘আমরা বরাদ্ধের জন্য চিঠি ড্রাপ্ট করেছি। বরাদ্ধ পেলে আমরা এইটা মেরামত করে বসবাসের উপযোগি করে তুলবো।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাদ মোহাম্মদ আন্দালিব গণপূর্ত বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘নতুনভাবে তিনটি বহুতল প্রায় ১০ তলা ভবন তৈরির চন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো আছে।’
বর্তমানে জেলার প্রায় সবকটি সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ করা ভবনগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।