মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের বাঠইমুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে দেখা দিয়েছে ফাটল। কংক্রিটের খুঁটি থেকে বেরিয়ে এসেছে মরিচা ধরা রড। যখন-তখন খসে পড়ছে পলেস্তারা। কয়েক মাস আগে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত। ক্লাসরুম সংকটে অনেক শিক্ষার্থীকে ক্লাস করতে হয় বাইরে বসে।
একইচিত্র উপজেলার উভাজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও। শ্রেণিকক্ষ সংকটে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুরোনো টিনশেড ঘরে কোনোরকমে ক্লাস নিচ্ছেন। তবে ঘরটির অবস্থাও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় স্কুলে আসলে শিশুদের দিন কাটে শঙ্কায়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলায় মোট ৬৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি উপজেলার ২৬টি বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ।
প্রাথমিক বিদ্যালয় শিশুদের শিক্ষার প্রথম ভিত্তি তৈরি করে। অথচ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিশুদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শিশুরাও কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানান শিক্ষকরা।
তবে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দাবি ইতোমধ্যেই পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনগুলোর তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা আখতার বলেন, ‘ আমরা তালিকা করেছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি স্কুলের জন্য বাজেট চলে এসেছে। বিশেষ করে এডুকেশন ইমার্জেন্সি থেকে চলে এসেছে। আর যেগুলোর পুনঃনির্মাণ প্রয়োজন সেগুলোর বাজেট সামনে আসবে। সেগুলো একটা তালিকা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর আসবে। প্রক্রিয়াধীন আছে।’