দেশে এখন
ভ্রমণ
0

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ টেংরাগিরি!

একদিকে উত্তাল সমুদ্রের বিস্তীর্ণ জলরাশি অরেকদিকে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে গাছে গাছে পাখিদের কলকাকলি, এ যেন কল্পনায় আঁকা রূপসী বাংলার প্রতিচ্ছবি। সুন্দরবনের পর টেংরাগিরি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল। বরগুনার তালতলী থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত যার বিস্তৃতি ১৩ হাজার ৬৪৪ একর।

১৯৬০ সালের ১২ জুলাই টেংরাগিরিকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণা করা হয়। আর বনের প্রাণকেন্দ্রে ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠা হয় ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর। নোনা ও মিষ্টি পানির মিশ্রণের ফলে এখানে দেখা যায় বিলুপ্তপ্রায় নানা প্রজাতির ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ, পশুপাখি ও সরীসৃপ প্রাণি।

অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা টেংরাগিরি ইকোপার্কে রয়েছে কুমির প্রজনন কেন্দ্র, হরিণ, বানর, বন বিড়াল, বন্য শুকরসহ বিচিত্র সব প্রাণি। প্রাণ প্রকৃতির টানে দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই ঘুরতে আসেন এই ইকোপার্কে। প্রাণপ্রকৃতির এই রূপ দেখে মুগ্ধ রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘুরতে যাওয়া দর্শনার্থীরা।

যেকোনো ঘূর্ণিঝড়ে বুক পেতে উপকূলবাসীকে সুরক্ষা দিয়ে আসছে এ বনাঞ্চলটি। তবে, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও গাছ নিধনে ঘনত্ব কমেছে এ বনে। সেইসঙ্গে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় টানতে পারছে না আশানুরূপ পর্যটক। যদিও পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে জেলা প্রশাসন।

বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, 'ওই দিকের রাস্তার কাজ চলমান আছে। কাজ শেষ হইলে আশা করি পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করবে। এর পাশাপাশি শুভসন্ধ্যা বিচের রক্ষার জন্য আমরা একটা বাজেট পেয়েছি। আশা করি এ বাজেট পেয়ে গেলে আমরা সেখানে দুই কিলোমিটারের মতো বাধ করে দিব।'

২০২৩ সালে টেংরাগিরি ইকোপার্ক থেকে রাজস্ব আসে ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৫৫ টাকা। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সরকারের সুদৃষ্টিতে পাল্টে যেতে পারে এ আয়ের চিত্র, বলছেন পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টরা।

এসএস

আরও পড়ুন: