অবসর পেলেই সমুদ্রের টানে সারাদেশ থেকে পর্যটকরা ছুটে যান পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। গা ভেজান নোনা জলে। এবার রাজনৈতিক অস্থিরতায় পর্যটন মৌসুমের শুরুটা ভালো না গেলেও জাতীয় নির্বাচনের পর আবারও পর্যটকে মুখর কক্সবাজার। এতে চাঙা হয়ে উঠেছে পর্যটন নির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য। প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে হোটেল-রেস্তোঁরা, পরিবহন ব্যবস্থাসহ গোটা পর্যটন খাতে।
অধিকাংশ হোটেল-মোটেল গেস্টহাউসে ভাড়া হয়ে গেছে শতভাগ রুম। দিনভর সৈকতের নোনাজল ভেজার পাশাপাশি জেড স্কি, বিচ বাইকে চড়ে আনন্দ উপভোগ করেন অনেকে। সুযোগ রয়েছে ঘোড়ায় চড়ে ভিন্নরকম অভিজ্ঞতা অর্জনেরও। অনেকে প্রিয় মুহূর্তগুলো বন্দি করেছেন মুঠোফোনে বা ক্যামেরায়।
পর্যটকরা বলেন, পরিবার নিয়ে এসে খুব ভালো লাগছে। অনেক মানুষ এসেছে। সমুদ্র সবসময়ই ভালো লাগে।
বিপুল পর্যটক আসায় খুশি সৈকতের ফটোগ্রাফার, জেডস্কি চালক, বিচ বাইক চালক, ছাতা চেয়ার মালিকসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের ব্যবসা অনেক ভালো হচ্ছে। সামনে কোন বন্ধ না গেরে আমাদের ব্যবসা আরও ভাল হবে। নির্বাচনে হরতাল অবরোধের কারণে অনেকদিন পর্যটক আসতে পারেননি। সেজন্য আমাদের ব্যবসা ভাল হয়নি। আজকে থেকে অনেক পর্যটক দেখা যাচ্ছে।
হোটেল মালিকদের আশা, পর্যটক আগমনের এই ধারা আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এতে বিগত দিনের ক্ষতি তারা পুষিয়ে নিতে পারবেন।
বৃহত্তর বিচ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মো: আব্দুর রহমান বলেন, 'নির্বাচন শেষ হওয়ার পর শুক্রবার থেকে অনেক পর্যটক কক্সবাজারে আসতে শুরু করেছে। হোটেল মোটেলে আজ শতভাগ বুকিং আছে। আশা করি এ ধারা আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।’
ছুটির দুই দিনে অন্তত শত কোটি টাকার বাণিজ্যের আশা ব্যবসায়ীদের।