কেওক্রাডংয়ের সৌন্দর্য উপভোগে সেরা ট্রাভেল টিপস

কেওক্রাডং পর্বত
কেওক্রাডং পর্বত | ছবি: সংগৃহীত
0

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় অবস্থিত জনপ্রিয় পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং। এর উচ্চতা প্রায় ৩১৭২ ফুট, যা এক সময় দেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ বলে পরিচিত ছিল। তবে আধুনিক পরিমাপে এটি এখন দেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিসেবে বিবেচিত। শীর্ষে মাঝে-মধ্যে সাদা মেঘের আবরণ পড়ে, যা দূর থেকে ধোঁয়াটে দেখায়। বাতাসের ঝাপটায় এখানে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে, কারণ পর্যাপ্ত শক্তি ও সাহস প্রয়োজন। সময়ের পরিবর্তনে এই এলাকার আবহাওয়া পরিবর্তনশীল, যেখানে বৃষ্টি, ঝোড়ো বাতাস ও মেঘের ঘনঘটা দেখা যায়।

Travel Guide to Keokradong

দীর্ঘদিনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ অক্টোবর থেকে পর্যটকদের জন্য ফের উন্মুক্ত করা হয়েছে দুর্গম পর্যটনকেন্দ্র কেওক্রাডং (Easy Travel Tips for Keokradong Adventure)।

কেওক্রাডং যাওয়ার উপায় | How to Reach Keokradong

দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে প্রথমে বান্দরবানে পৌঁছাতে হবে, কারণ সেখান থেকেই কেওক্রাডংয়ের জন্য যাত্রা শুরু। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়মিত বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। কলাবাগান, সায়েদাবাদ বা ফকিরাপুল থেকে রাতের বাসে করে আপনি সহজে বান্দরবানে পৌঁছাতে পারবেন।

সাধারণত রাত ১০টা বা সাড়ে ১১টার মধ্যে বাস ছাড়ে। বাসের ভাড়া নন-এসি জন্য প্রায় ৫৫০ টাকা, আর এসি বাসের জন্য ৯৫০ টাকা। এই পথে ভ্রমণকারীরা সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন এবং পর্যটন স্পটে সহজে পৌঁছাতে পারেন। তারপর বান্দরবান থেকে সরাসরি রিজার্ভড গাড়ি বুক করে রুমা বাজার ও বগালেক হয়ে কেওক্রাডংয়ের দিকে যাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:

Easy Trekking Route to Keokradong | Keokradong Trek from Bandarban

অন্যভাবে, প্রথমে বান্দরবানের রুমা বাজারে পৌঁছে, সেখান থেকে স্থানীয় গাড়ি নিয়ে বগালেক যেতে হবে, পরে সেখান থেকে আবার গাড়ি নিয়ে কেওক্রাডং এর পথে রওনা দিতে পারেন। অধিকাংশ ভ্রমণকারী বাজেটের দিকে নজর দেন, তারা সরাসরি গাড়ি বুকের পরিবর্তে প্রথমে রুমা বাজারে যান এবং সেখানে থেকে আবার গাড়ি নিয়ে কেওক্রাডংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেন।

ট্রেন ও বিমানে যেভাবে যাবেন | How to Travel to Keokradong by Train and Air

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে চাইলে আপনি বিভিন্ন ট্রেনের (How to Travel to Keokradong by Train) মাধ্যমে সহজে যাত্রা করতে পারেন। পর্যটক এক্সপ্রেস, কক্সবাজার এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, তূর্ণা নিশিতা, মহানগর গোধূলি এইসব ট্রেনের (Easy Train Travel Tips for Keokradong Adventure) মাধ্যমে চট্টগ্রাম যেতে পারবেন। ট্রেনের (Train Schedule and Tickets for Keokradong) শ্রেণীভেদে ভাড়া ৪০৫ থেকে ১৩৯৮ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও, আপনি ঢাকা থেকে সরাসরি আকাশ পথে উড়োজাহাজে (Air Travel Guide to Keokradong) চট্টগ্রাম এসে পৌঁছাতে পারেন, যা দ্রুত ও সুবিধাজনক(Best Airport Options for Keokradong)।

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান যেতে হলে আপনি বাস বা প্রাইভেট কারের মাধ্যমে সহজে পৌঁছে যেতে পারেন। (Easy Ways to Travel from Chittagong to Bandarban)

কেওক্রাডং |ছবি: এখন টিভি

ঢাকা থেকে বান্দরবান যাত্রা ও ভ্রমণের পরিকল্পনা | Bandarban Trip from Dhaka | Travel Tips & Route

Easy Travel from Dhaka to Bandarban:

প্রথম দিন: রাতের বাসে ঢাকা থেকে বান্দরবানের উদ্দেশে রওয়ানা দিতে হবে। সকালে বান্দরবানে পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করুন। নাস্তা শেষে জিপ নিয়ে বান্দরবান থেকে রুমা বাজারের পথে যাত্রা শুরু করবেন। রুমা বাজারে পৌঁছে গাইডের সঙ্গে সেনাবাহিনীর অনুমতি নিয়ে চান্দেরের গাড়িতে করে বগা লেকের জন্য রওয়ানা হবেন। এদিন মূলত বগা লেকে বিশ্রাম ও বিশ্রাম করবেন।

দ্বিতীয় দিন: সকালে উঠে দ্রুত নাস্তা শেষ করে ৭টার মধ্যে কেওক্রাডংয়ে যাওয়ার জন্য রওয়ানা দিন। এ দিন প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা পাহাড়ি পথে হাঁটাহাঁটি করতে হবে। পথে আপনি চিংড়ি ঝর্ণা এবং ঝিরি পথের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করবেন। উঁচু-নিচু পাহাড় পেরিয়ে দুপুরের মধ্যে কেওক্রাডং পৌঁছে যাবেন। সেখানে দিনভর শান্তি ও প্রশান্তির মুহূর্ত উপভোগ করবেন।

তৃতীয় দিন: সকাল সকাল উঠে ফ্রেশ হয়ে কেওক্রাডং থেকে ফেরার প্রস্তুতি নিন। তারপর দার্জেলিং পাড়ায় পৌঁছে সকালের নাস্তা করুন। এরপর বগা লেকের দিকে রওয়ানা দিয়ে সেখানে কিছু সময় কাটান। এরপর রুমা বাজারে পৌঁছে লাঞ্চ করুন। এবার সোজা বান্দরবানের উদ্দেশে রওয়ানা হন। রাতের বাসে বান্দরবান থেকে ঢাকায় ফিরে যান।

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান যাত্রা ও ভ্রমণের সহজ গাইড | Travel from Chittagong to Bandarban | Best Tips

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান যেতে পারেন (How to Travel from Chittagram to Bandarban by Road & Car)। বদ্দারহাট থেকে বান্দরবানের উদ্দেশে পূবালী ও পূর্বানী পরিবহনের বাস চলে। এসব বাসে একজনের ভাড়া ধার্য করা হয় ২২০ টাকা। আপনি চাইলে সকালেই বাস ধরার চেষ্টা করবেন যাতে সময়মতো পৌঁছাতে পারেন।

বান্দরবান শহর থেকে রুমা বাজার যাওয়া: বান্দরবান শহর থেকে রোডে অটো ভাড়া করে ১৫ টাকা দিয়ে রুমা বাজারের বাসস্ট্যান্ডে যেতে হবে। প্রথম বাসটি সকাল ৮টায় ছেড়ে যায়। আপনি প্রথম বাসটাই ধরার চেষ্টা করবেন। এর ভাড়া প্রায় ১১০ টাকা।সাধারণত এই পথের সময় লাগে আড়াই থেকে ৩ ঘণ্টা।

রুমা বাজারে পৌঁছে: নেমে গাইডের সাথে আর্মি ক্যাম্পে যাবেন। সেখানে সব দরকারি কাগজপত্রের কাজ শেষ করবেন।

বগা লেকে যাওয়া: আর্মি ক্যাম্পের কাজ শেষ হলে আপনাকে ল্যান্ডক্রুজার জিপ বা চান্দের গাড়ি নিয়ে বগা লেকের উদ্দেশে রওনা দিতে হবে।

ল্যান্ডক্রুজার জিপের ভাড়া: ১৮০০ টাকা (কম বেশি হতে পারে), এর ধারণক্ষমতা প্রায় ৭ থেকে ৮ জন।

চান্দের গাড়ির ভাড়া: ২০০০ টাকা (কম বেশি হতে পারে), এর ধারণক্ষমতা প্রায় ১৪ থেকে ১৫ জন। এই গাড়িগুলো দিয়ে আপনি বগা লেকের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।

৫ জনের কেওক্রাডং ভ্রমণ পরিকল্পনা | Group Trip to Keokradong for 5 People | Complete Planning Guide | Adventure Trip


প্রথম দিন: ঢাকা থেকে বান্দরবান পৌঁছানো,

ঢাকা থেকে বান্দরবান যাত্রা: ৬২০ টাকা × ৫ = ৩,১০০ টাকা

বান্দরবানে সকালের নাস্তা: ৫০ টাকা × ৫ = ২৫০ টাকা

বান্দরবন থেকে রুমা বাজারের চান্দেরগাড়ি (প্রতি টাকায়): ২৫০ টাকা (প্রাকটিস অনুযায়ী)

রুমায় দুপুরের খাবার: ১০০ টাকা × ৫ = ৫০০ টাকা

রুমা বাজার থেকে বগালেকের চান্দেরগাড়ি (প্রতি): ১৫৭ টাকা × ৫ = ৭৮৫ টাকা

বগালেকে রাতের খাবার: ১২০ টাকা × ৫ = ৬০০ টাকা

থাকার খরচ (বগালেক): ১৫০ টাকা × ৫ = ৭৫০ টাকা

দ্রষ্টব্য: এখানে চান্দেরগাড়ি ও খাবার খরচ একটু ভিন্ন হতে পারে, হিসেবের জন্য গড় হিসেবে নিচেছি।

দ্বিতীয় দিন: বগালেক থেকে কেওক্রাডং ভ্রমণ

বগালেকে নাস্তা: ১২০ টাকা × ৫ = ৬০০ টাকা

কেওক্রাডং এ দুপুরের খাবার: ১৩০ টাকা × ৫ = ৬৫০ টাকা

রাতে কেওক্রাডংয়ে থাকা: ২০০ টাকা × ৫ = ১,০০০ টাকা

তৃতীয় দিন: কেওক্রাডং থেকে ফেরার পথ

দার্জিলিং পাড়ায় হালকা নাস্তা: ৪০ টাকা × ৫ = ২০০ টাকা

কমলাবাজার থেকে রুমা বাজারের চান্দেরগাড়ি (প্রতি): ১৫৭ টাকা × ৫ = ৭৮৫ টাকা

রুমায় দুপুরের খাবার: ১০০ টাকা × ৫ = ৫০০ টাকা

রুমা বাজার থেকে বান্দরবান (প্রতি): ২৫০ টাকা × ৫ = ১২৫০ টাকা

বান্দরবানে রাতের খাবার: ২০০ টাকা × ৫ = ১,০০০ টাকা

বান্দরবন থেকে ঢাকা: ৬২০ টাকা × ৫ = ৩,১০০ টাকা

গাইড খরচ ও অন্যান্য খরচ

প্রতিদিন গাইডের জন্য: ৬০০ টাকা × ৩ দিন = ১,৮০০ টাকা

গাইডের থাকা ও খাওয়া (প্রতি দিন): আনুমানিক ২০০ টাকা × ৩ = ৬০০ টাকা

সর্বমোট আনুমানিক খরচ: ট্রাভেল ও খাবারসহ: প্রায় ১৬,০০০ - ১৭,০০০ টাকা (৫ জনের জন্য, কিছু খরচ ভিন্ন হতে পারে)

কেওক্রাডং ভ্রমণের জন্য অনুমতি নেয়ার প্রক্রিয়া | Keokradong Permit Process

কেওক্রাডংয়ে যেতে হলে আপনাকে মোট পাঁচটি স্থানে অনুমতি নিতে হবে। এই অনুমতি সংগ্রহের কাজগুলো আপনার গাইডই করবে, আপনি শুধু নিজের নাম, ফোন নম্বর ও স্বাক্ষর দিবেন। নিচে অনুমতি নেয়ার স্থানগুলো ও প্রক্রিয়া দেয়া হলো:

Travel Authorization Guide | Easy Permit Process for Keokradong

রুমা বাজারে গিয়ে: সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ফরম পূরণ করে অনুমতি নিতে হবে।

রুমা বাজার পুলিশ ফাঁড়ি থেকে: পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি গ্রহণ করতে হবে।

বগা লেকে যাওয়ার সময়: সেনাবাহিনীর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

কেওক্রাডং এ পৌঁছানোর আগে: বগা লেকের সেনাবাহিনীর কাছে আবারো অনুমতি নিতে হবে।

কেওক্রাডং গিয়ে: স্থানীয় সেনাবাহিনীর কাছ থেকে অনুমতি ও স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হবে।

ফেরার সময়: ভ্রমণ শেষে ফিরে আসার পথে আবার একই স্থানে গিয়ে স্বাক্ষর ও অনুমতি নিয়ে আসতে হবে।

কেওক্রাডংয়ে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা | Accommodation Options at Keokradong

কেওক্রাডংয়ে রাত কাটানোর ব্যবস্থা: কেওক্রাডংয়ের চূড়ায় একটি হোটেল রয়েছে যেখানে আপনি রাত কাটাতে পারবেন। এই হোটেলে এক রুমে সাধারণত ৪ থেকে ৮জন থাকতে পারে। রুমের ভাড়া জনপ্রতি ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

এছাড়া সেখানে কিছু আদিবাসী কটেজ রয়েছে। সেগুলোতে থাকতে চাইলে জনপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় থাকতে পারবেন। আপনি গাইডের মাধ্যমে আগে থেকেই এই কথা বলে রাখতে পারেন বা গিয়ে সরাসরি কথা বলে থাকতে পারেন। তবে ছুটির দিন বা ব্যস্ত সময়ে গেলে আগে থেকে বুকিং করে রাখা ভালো।

Trekking Lodges & Campsites  | Food & Dining at Keokradong

খাওয়ার ব্যবস্থা: কেওক্রাডংয়ে একটি আদিবাসী হোটেল রয়েছে। সাধারণত ১৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে খাবার প্যাকেজ পাওয়া যায়। সেখানে ভাত, ডিম, আলুভর্তা, পাহাড়ি মুরগির মতো সহজ ও সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থা আছে। খাবার কি খাবেন, তা আগে থেকেই অর্ডার করে রাখতে হবে। আপনি যাওয়ার সময় গাইডের সাহায্যে খাবার অর্ডার করে রাখতে পারেন, যাতে পৌঁছানোর সাথে সাথেই খাবার খেতে পারেন।

বগা লেকে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা | Accommodation at Boga Lake |  Stay & Food Facilities at Boga Lake

আদিবাসী কটেজে থাকা: বগা লেকে আদিবাসীদের ছোট ছোট কটেজ রয়েছে যেখানে আপনি থাকতে পারবেন। এই কটেজগুলো প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যেই অবস্থিত। জনপ্রতি খরচ হবে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। এক কটেজে ৪ থেকে ১০ জন থাকতে পারবেন।

বিশেষ পছন্দ অনুযায়ী ব্যবস্থা: যদি কাপল বা মহিলাদের জন্য আলাদা কটেজের ব্যবস্থা প্রয়োজন হয়, তাহলে আগে থেকে গাইডকে বললে তা ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। আপনি চাইলে গিয়ে সরাসরি কটেজ ঠিক করতে পারেন।

খাবার: বগা লেকের খাবারের ব্যবস্থাও কেওক্রাডংয়ের মতো। সহজ, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার পাওয়া যায়। খাবারের অর্ডার আগে থেকেই করে রাখতে হবে, যাতে সময়মতো খাবার পাওয়া যায়।

কেওক্রাডং ভ্রমণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস | Keokradong Travel Best Time to Visit, Packing List & Safety Advice

সঠিক সময় নির্বাচন করুন: কেওক্রাডং-এ ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হলো শীতকাল (নভেম্বার থেকে ফেব্রুয়ারি), কারণ তখন আবহাওয়া শান্ত ও ঠাণ্ডা থাকে। বর্ষাকাল বা বরফের সময় ট্রেকিং কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

অভিজ্ঞ ট্রেকারদের সাথে যান: যদি আপনি প্রথমবার ট্রেকিং করতে যাচ্ছেন, তাহলে অভিজ্ঞ ট্রেকার বা গাইডের সাথে যান। এটি নিরাপত্তা ও সহজতা বাড়ায়।

প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিন: হালকা ট্রেকিং ব্যাগ, পর্যাপ্ত জল, স্ন্যাক্স, তাপমাত্রা অনুযায়ী পোশাক, সানগ্লাস, সানস্ক্রিন, ওষুধ ও আবহাওয়া অনুযায়ী কাপড় নিন।

আবহাওয়া অনুসারে প্রস্তুত থাকুন: পাহাড়ে আবহাওয়া পরিবর্তনশীল, তাই আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে প্রস্তুতি নিন। ঠাণ্ডা, বৃষ্টি বা কুয়াশার জন্য প্রস্তুত থাকুন।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করুন: সুন্দর দৃশ্যগুলো ছবি তুলুন, আর প্রকৃতির সঙ্গে মনোযোগ দিন। ট্রেকের মাঝে শান্ত ও ধৈর্য্যশীল থাকুন।

স্মার্ট ট্রেকিং পরিকল্পনা করুন: ট্রেকিং রুট ও সময়সূচি আগে থেকে নির্ধারণ করুন। অনেক সময় গড়ে ২ দিন ট্রেকিং হয়, তাই পর্যাপ্ত সময় নিন।

পরিবেশের প্রতি সম্মান দেখান: কুঁড়ি ও আবর্জনা ফেলে না রেখে পরিবেশের যত্ন নিন। পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করুন।

সতর্কতা ও নিরাপত্তা: অসুস্থ হয়ে পড়লে বা দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত নিকটস্থ গাইড বা স্থানীয় লোকজনের সাহায্য নিন। কোনও অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আরও সতর্ক থাকুন।

অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ কিছু এড়িয়ে চলুন: খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ণ গিরিপথ বা ঝর্ণার কাছাকাছি যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

স্মরণীয় অভিজ্ঞতা উপভোগ করুন: প্রকৃতির সাথে সংযোগ স্থাপন করুন, শান্তি অনুভব করুন এবং এই সুন্দর ট্রিপের স্মৃতি গড়ে তুলুন।

এসআর