
আজ দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েছে উপকূলের জেলাগুলো। ক্ষতি হয়েছে বেড়িবাঁধ, মৎস্য, কৃষি, শিক্ষা, সড়ক ও বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায়। আজ (বৃহস্পতিবার, ৩০ মে) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

খুলনার ৫৫টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত অসংখ্য গ্রাম
খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার অন্যতম কারণ দুর্বল বেড়িবাঁধ। লোকালয় বাঁচাতে নিজ উদ্যোগে বাঁধ সংস্কারের কাজ করছেন স্থানীয়রা। দ্রুত বাঁধ সংস্কার না করতে পারলে ক্ষতি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। খুলনার ৫৫টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে ও উপচে প্লাবিত হয়েছে অসংখ্য গ্রাম। এর মধ্যে ৩২টি পয়েন্টে ১.৭০৫ কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। আর ২৩টি পয়েন্টের ৩.৬৮৮ কিলোমিটার বাঁধ ওভারফ্লো হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় চার লাখ মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালে ৬১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত
ঘূর্ণিঝড় রিমালে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের ৬১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫টি স্থানে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকে গেছে লবণ পানি। নোয়াখালীতে ভেসে যায় কয়েক কোটি মাছের ঘের। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপকূলীয় ৪ উপজেলার গবাদি পশু। পানিতে ধসে গেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ৫০ ফুট বেড়িবাঁধ। এছাড়া জেলার মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে কলাপাড়ায় আড়াইহাজার পুকুর, ৪৬৫ টি মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।

উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ভেঙে গেছে বেড়িবাঁধ
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেই সাথে বিভিন্ন জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এদিকে রিমালের তাণ্ডবে পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা ও ভোলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

তিন কিলোমিটারের বাঁধই যে অঞ্চলকে পাল্টিয়ে দিয়েছে
পিরোজপুরে স্থানীয়রা মিলে তৈরি করেছেন ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। এতে বদলে গেছে স্থানীয় অর্থনীতির দৃশ্যপট। ৪০ বছরের অনাবাদি ৫০০ বিঘা জমি এসেছে চাষের আওতায়।