
চব্বিশ পরগনায় রেড এলার্ট, কলকাতা থেকে বিমান চলাচল স্থগিত
আজ রাতে ঘূর্ণিঝড় রিমাল আছড়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপে। সর্তক থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর আর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জারি করা হয়েছে রেড এলার্ট। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় সমুদ্র উপকূলীয় স্থানগুলোতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর। কলকাতা থেকে স্থগিত করা হয়েছে বিমান চলাচল।

ঘূর্ণিঝড় রিমাল: মোংলা-পায়রায় ৭, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি রুপ নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমালে। মোংলা ও পায়রা বন্দরে ৩ নম্বর সর্তক সংকেতের পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের যে গতিপথ দেখানো হচ্ছে তা পশ্চিমবঙ্গের সাগর আইল্যান্ড ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝ দিয়ে অতিক্রম করবে।

পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপে আঘাত হানবে রিমাল
পশ্চিমবঙ্গের উপকূলসহ বিভিন্ন রাজ্যে আগামী কয়েকদিন ভারি ও অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে, রিমালের প্রভাবে উত্তাল সাগর দেখে অনেকেই ভীত হলেও সৌন্দর্য উপভোগে পশ্চিমবঙ্গের দিঘায় ভিড় করছেন পর্যটকরা।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ পরিণত হচ্ছে নিম্নচাপে
বঙ্গোপসাগরের সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এজন্য সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

বিপুল বরাদ্দেও উপকূলে হয় না টেকসই বাঁধ
দেশের উপকূলে প্রায় প্রতিবছরই আঘাত হানে কোনো না কোনো ঘূর্ণিঝড়। বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ জনপদ। এরপর আসে অর্থের বরাদ্দ। শুধু খুলনার কয়রা ও সাতক্ষীরায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার স্থায়ী বাঁধ প্রকল্প থাকলেও তা চলছে কচ্ছপগতিতে। আর তাৎক্ষণিক বরাদ্দে বেশিরভাগ সময়ই বালু আর মানহীন ব্যাগ ফেলেই শেষ হয় কাজ। ঘূর্ণিঝড় মোকবিলায় কতটুকু প্রস্তুত সেসব বেড়িবাঁধ?

মার্চ-এপ্রিলের রেশ থাকতেই আবারও মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা
দেশের ৫ অভয়াশ্রমে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কবলে উপকূলের জেলেরা। ২০ মে থেকে সামুদ্রিক জলসীমায় শুরু এই নিষেধাজ্ঞা। এতে জেলেদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এমন অবস্থায় সহজ শর্তে ঋণ, পূর্নবাসনের পাশাপাশি প্রতিবেশি দেশের জেলেদের দৌরাত্ম্য ঠেকানোর দাবি তাদের।

ক্রমশ সংকুচিত উৎস, চাহিদা বাড়ছে বোতলজাত পানির
সময়ের সঙ্গে তীব্র হচ্ছে সুপেয় পানির সংকট। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষের ভাগেই মিলছে না বিশুদ্ধ পানি। আর এই সংকটে চাহিদা বাড়ছে বোতলজাত পানির। বছরে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে এই বাণিজ্য।