পানিতে নষ্ট আমনের বীজতলা, চারা সংকটে ভোলার কৃষক
অতিরিক্ত বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানি এক হয়ে ভোলায় আমনের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এতে করে মৌসুমের শুরুতেই চারা সংকটে কৃষকরা দিশেহারা। আবার চারা পেলেও দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই কিনতে পারছেন না। আগস্টের মধ্যে চারা রোপণ করে শেষ করার কথা থাকলেও সেপ্টেম্বর শেষ হতে চললেও, এখনো অর্ধেক চারা লাগানো শেষ করতে পারেনি কৃষক।
বৃষ্টি না হওয়ায় বাড়ছে সেচ খরচ, শঙ্কায় কৃষক
মৌসুমেও আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন যশোরের আমন চাষিরা। পানির স্বল্পতায় আমনের চারা রোপণ করতে পারছেন না তারা। নির্ভর করতে হচ্ছে সেচের ওপর। এতে বাড়তি গুনতে হতে পারে প্রায় ২০৮ কোটি টাকা।

বৃষ্টিতে হাসি ফুটেছে রাজশাহীর কৃষকদের মুখে
ক'দিনের টানা বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে। মৌসুমের শুরুতেই শত মিলিমিটারের বৃষ্টি আমনের বীজতলা তৈরিতে খরচ কমিয়েছে চাষিদের। বৃষ্টির আর্শীবাদে আমনের জমি প্রস্তুত করছে কৃষক। আর তাতে বিঘায় সেচ খরচ কমেছে আড়াই থেকে তিনশত টাকা। বরেন্দ্র অঞ্চল জুড়ে যার পরিমাণ প্রায় ১৫ থেকে ১৮ কোটি টাকা। কৃষি বিভাগ বলছে, বৃষ্টির কারণে আমনের আগাম রোপণ এবং রবি শস্য উৎপাদনে এগিয়ে রাখবে কৃষককে।

ফেনীতে নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত বেশ কয়েকটি এলাকা
ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে ভাঙনের সৃষ্টি হয় নদী রক্ষা বাঁধের ৫টি স্থানে। প্লাবিত হয় ১২টি গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমি ও পুকুরের মাছ। ক্ষতির এই চিত্র ফুলগাজী ও পরশুরাম বাসীর একদিনের নয়। বর্ষা মৌসুম এলেই দফায় দফায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার লাখো মানুষ। প্রতিবছর স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস মিললেও তার বাস্তবায়ন হয় না।
রিমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাত, নওগাঁয় ফসলের মাঠে স্বস্তি
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে টানা বৃষ্টি যেন আশীর্বাদ হয়েছে নওগাঁর ফসলের মাঠের জন্য। দীর্ঘদিন ধরে চলা দাবদাহ থেকে রক্ষা পেয়েছেন সেখানকার চাষিরা। একদিনের বৃষ্টির ফলেই আগামী এক মাস ফসলের মাঠে সেচ দিতে হবে না চাষিদের। এতে খরচ বাঁচবে ৪ কোটি টাকা।