ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বিপৎসীমার ওপর তিস্তার পানি
ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বেড়েছে উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি। রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে তিস্তার পানি। এরইমধ্যে পাঁচ জেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের কয়েক লাখ হেক্টর আবাদি জমি। এদিকে কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে বেড়েছে যমুনা নদীর পানি। যাতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বাসিন্দাদের মাঝে।
টানা বর্ষণে উত্তরের জনপদে বাড়ছে নদ-নদীর পানি
দুই দিনের টানা বর্ষণে উত্তরের জনপদে বাড়ছে নদ-নদীর পানি। তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রর পানি বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে পানির প্রবাহ। ৪৮ ঘন্টা পর ভারি বর্ষণ থামলেও তিস্তায় পানির চাপ সামাল দিতে খোলা রাখা হয়েছে ডালিয়া পয়েন্টের ৪৪ টি জলকপাট। তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের গ্রামগুলো পানিবন্দি হলেও আবহাওয়া অফিস বলছে, উজানের ঢল না নামলে আপাতত বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।
বিপৎসীমার কাছাকাছি নেত্রকোণার নদ-নদীর পানি
ভারি বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণার সব কয়টি নদ-নদীর পানি বাড়লেও এখনো বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার সোমেশ্বরী, কংস, ধনুসহ সব কয়টি নদ-নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বন্যার পানিতে ভাসছে কুড়িগ্রামের বিস্তীর্ণ জনপদ
উজানের ঢলে ভরে ওঠা নদ-নদীর পানি ভাটির দিকে নেমে যায় ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে। সেই নদে পানি কমছে ধীরে ধীরে। মাঝখানে কুড়িগ্রামের বিস্তীর্ণ জনপদ বন্যার পানিতে ভাসছে। কমছে না দুর্ভোগ। বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ফসলের খেত সবই পানিতে নিমজ্জিত। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি ও মাছ চাষ।
প্রতি বছর উজানের ঢলে তছনছ হয় ভাটির জনপদ
গায়ে-গতরে খেটে যা রোজগার- তার বেশিরভাগই ধুয়েমুছে নিয়ে যায় বানের জল। প্রতিবছর উজানের ঢলে তছনছ ভাটির জনপদ। বর্ষায় চর-দ্বীপচরবাসীর কাছে এ যেন নিয়তি। বালুচরে হাড়ভাঙ্গা শ্রমে-ঘামে যারা ফসল ফলান, তাদের যেন দেখার কেউ নেই। গবেষকদের মতে, সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে চরগুলো হতে পারে অমূল্য সম্পদের উৎস।