আমন ধান উঠতে শুরু করলেও চড়া বাজার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মোকামে নতুন আমন ধান উঠতে শুরু করলেও চড়া হয়ে আছে বাজার। এছাড়া ভারত থেকে আমদানির পর থেকে অপরিবর্তিত রয়েছে চালের দাম। সংশ্লিষ্টদের দাবি মোকামে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় চাহিদা মতো ধান কিনতে পারছেন না চাল কল মালিকরা। তবে সরবরাহ স্বাভাবিক হলে চালের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন তারা।
হেমন্ত, প্রাচীন অর্থনীতি-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক সেতুবন্ধন
হেমন্ত ঋতু গ্রাম ও শহরে নিয়ে আসে আলাদা আলাদা স্বপ্ন। প্রকৃতির কোলে সোনালি ধানের ঘ্রাণ, শিশিরে ভেজা সকাল আর রঙিন ফুলের সৌন্দর্যে ভরে ওঠে দিগন্তজোড়া মাঠ। কৃষকের ঘরে আসে তৃপ্তি- ঋণ শোধের স্বস্তি, সন্তানের বায়না পূরণের আনন্দ। অন্যদিকে, শহরের হেমন্তে জেগে ওঠে শুভ্রতা ও শীতল বাতাসের আবেশ। এই ঋতু প্রাচীন অর্থনীতি আর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক সেতুবন্ধন।
আলুর বীজ সংকটে উত্তরাঞ্চলের চাষীরা
বীজ সংকটে পড়েছেন উত্তরাঞ্চলের আলু চাষীরা। ৫৬ টাকা কেজি আলুর বীজ কিনতে হচ্ছে ৯০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। এরপরেও মিলছে না ভালো বীজ। এতে করে বগুড়া-জয়পুরহাট অঞ্চলের অনেক কৃষকই বীজের অভাবে সময়মতো আলু রোপণ নিয়ে শঙ্কায় আছেন। জরুরি ভিত্তিতে সংকটের সমাধান না করা গেলে উৎপাদন কমে যেতে পারে। এতে সামনের মৌসুমে আলুর দামের প্রভাব পড়তে পারে।
উত্তরাঞ্চলে ধান কাটার ধুম, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশা কৃষকদের
অগ্রহায়ণের প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমন ধান কাটার ধুম পড়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। পাশাপাশি বাজার ভালো থাকায় কষ্টের ফসলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশা কৃষকের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় দিনব্যাপী নবান্ন উৎসব
গ্রামবাংলায় আমন ধান ঘরে তোলার ঐতিহ্যবাহী উৎসব নবান্ন। শহুরে জীবনেও নবান্ন পালিত হয় নানা আনুষ্ঠানিকতায়। সেই ধারাবাহিকতায় অগ্রহায়ণের প্রথম দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় দিনব্যাপি নবান্ন উৎসব উদ্যাপিত হচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে সর্বজনীন রূপ পেয়েছে ২৬তম জাতীয় নবান্ন উৎসব।
ধানের ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কায় বগুড়ার কৃষকরা
বগুড়ায় শুরু হয়েছে আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াই। প্রতিমণ ধান হাটে বিক্রি হচ্ছে ১২শ থেকে ১৩শ টাকায়। ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। তবে আমন মৌসুমের শুরুতেই ধান-চালের দাম নির্ধারণ না করায় ভালো দাম নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ বলছে, কাটা-মাড়াই পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লাভবান হবেন কৃষকরা।
ময়মনসিংহে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি
বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহ চিত্র। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলায় প্রায় ২৬ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান ও শাক-সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে প্রায় ১৫ হাজার পুকুর, দিঘী ও বাণিজ্যিক মাছের খামার। কৃষি ও মৎস্য খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটিরও বেশি। গ্রামীণ সড়কে ক্ষতির পরিমাণ ১০৯ কোটি টাকা। বিভাগীয় কমিশনার বলছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে কাজ করবে সরকার।
পটুয়াখালীতে আবাদহীন ১৪ হাজার হেক্টর জমি, পিছিয়ে কৃষি অর্থনীতি
দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালী ধান উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও জলবায়ুর কারণে দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে এখানকার অর্থনীতি। জলাবদ্ধতায় অনাবাদি হয়ে পড়েছে জেলার ১৪ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। এতে ব্যাহত হবে আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা, অন্যদিকে পিছিয়ে পড়বে এখানকার কৃষি অর্থনীতি। এতে দুশ্চিন্তায় জেলার হাজারো কৃষক।
বন্যার পর কুমিল্লায় ফসলের বীজ ও চারা সংকটে কৃষক
বন্যার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও কুমিল্লার লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও লাঙ্গলকোট উপজেলার প্রায় দুই লাখ হেক্টর ফসলি জমি এখনও তলিয়ে আছে। যাতে নতুন করে ফসল আবাদ করতে পারছেন না চাষিরা। এদিকে, বালু জমে গোমতীর চরাঞ্চলের অধিকাংশ জমি হয়ে পড়েছে চাষাবাদের অনুপযোগী। এছাড়া বন্যাদুর্গত জেলার ১৪ উপজেলায় ফসলের বীজ ও চারা সংকটে অনাবাদি হয়ে পড়েছে চার লাখ হাজার হেক্টর ফসলি জমি।
দুর্গাপূজায় কোনো শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসন্ন দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ (মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর) সকালে গাজীপুরে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শনে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নেত্রকোণার মাঠে চলছে আমন চাষের ব্যস্ততা
নেত্রকোণার মাঠে পুরোদমে চলছে আমন চাষের ব্যস্ততা। জেলার উঁচু ও পাহাড়ি সীমান্তবর্তী এলাকায় এই ফসলের চাষ সবচেয়ে বেশি। তবে সার ও বীজের দাম বাড়ায় চাষের খরচ বেড়েছে। চলতি মৌসুমে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়েছে ১৮শ' কোটি টাকা। কৃষি বিভাগ বলছে, এই ফসল উৎপাদন ও চাষে কৃষকদের দেয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ।
বৃষ্টি না হওয়ায় বাড়ছে সেচ খরচ, শঙ্কায় কৃষক
মৌসুমেও আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন যশোরের আমন চাষিরা। পানির স্বল্পতায় আমনের চারা রোপণ করতে পারছেন না তারা। নির্ভর করতে হচ্ছে সেচের ওপর। এতে বাড়তি গুনতে হতে পারে প্রায় ২০৮ কোটি টাকা।