আওয়ামী-সরকার

রাষ্ট্রীয় মদদেই আওয়ামী শাসনামলে গুম-খুনের অন্ধকার অধ্যায় তৈরি হয়েছিল

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান মানবাধিকার কর্মীরা

রাষ্ট্রীয় মদদে গুম-খুন ও অপহরণের অন্ধকার অধ্যায় তৈরি হয়েছিল গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকারের আমলে। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে শেখ হাসিনার নির্দেশেই এসব মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মীরা। গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনে জমা পড়েছে প্রায় ১৮শ' অভিযোগ। কমিশন বলছে, গুম করে বাংলাদেশিদের চালান দেয়া হয়েছে ভারতের কারাগারে। নিরাপদ বাংলাদেশ তৈরিতে নজিরবিহীন এই অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান মানবাধিকার কর্মীরা।

অপরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়নে ১৫ বছরে তলানিতে অর্থনীতি

হাট বাজারের খরচে হিমশিম খাচ্ছেন স্বল্প ও সাধারণ আয়ের মানুষ। গত ১৫ বছরে আয় যে পরিমাণ না বেড়েছে তার চেয়ে খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। আর এর প্রধান কারণ হিসেবে অপরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়নকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। শুধু সামষ্টিক অর্থনীতি নয়, আওয়ামী সরকারের আমলে সুবিধাভোগী সিদ্ধান্তে ব্যাংক ও শেয়ারবাজারের তারল্য এবং আস্থাও তলানিতে নেমেছে বলে জানিয়েছেন তারা।

লোডশেডিংয়ে নাকাল জনজীবন, উৎপাদন বন্ধ ৪০ প্ল্যান্টে

লুটপাতের খাতে পরিণতের অভিযোগ বিশেষজ্ঞদের

তীব্র গরমে হঠাৎ লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় নাকাল জনজীবন। তাই বিগত ১৫ বছরে সক্ষমতার নানা গল্প শুনলেও লোডশেডিংয়ের কারণে আওয়ামী সরকারকেই দুষছেন রাজধানীবাসী। কর্তৃপক্ষ বলছে, গরমে চাহিদা বাড়লেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সংকট, বড়পুকুরিয়ায় যান্ত্রিক ত্রুটি ও আদানি-এস আলমের সরবরাহ কম থাকায় দেড় হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হচ্ছে প্রতি দিন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আওয়ামী সরকারের আমলে বিদ্যুৎখাতকে পরিণত করা হয়েছে লুটপাটের খাত হিসেবে।

চট্টগ্রামের ২৪ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কী?

সরকার পাল্টে গেছে, অথচ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে তাদের হাজার হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প। চট্টগ্রামেও বিগত সরকারের এমন আধা ডজন মেগা প্রকল্পের আকার প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকার। যেগুলো নতুন সরকারের আমলে দ্রুত শেষ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। জলাবদ্ধতা বা যানজটের মতো দূর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে এসব প্রকল্প নেয়া হলেও, দুর্নীতি ও অপরিণামদর্শীতায় বছর বছর পিছিয়েছে প্রকল্পের কাজ। পরিবর্তিত বাস্তবতায় কী হবে এইসব প্রকল্পের?

কেমন আছে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার?

কেমন আছে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার?

১৭ বছরে অপহৃত ৬২৯ জন

গুম হওয়া মানুষের তালিকা দীর্ঘ। কারও সন্তান, কারও বাবা আবার কারও স্বামী। বেশিরভাগই গত আওয়ামী সরকারের রোষানলের শিকার হয়ে গুম হয়েছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদন বলছে, গত ১৭ বছরে সারাদেশে অপহৃত হয়েছে ৬২৯ জন। তাদের কেউ কেউ ফিরে এলেও আজও নিখোঁজ আছেন অনেকে। স্বজনদের দাবি, গুমবিরোধী কনভেনশন আর তদন্ত কমিটির মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনারও দাবি তাদের।

জাতিসংঘকে তদন্তে সহায়তা দিতে প্রস্তুত অন্তর্বর্তী সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করতে সরকারের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে জাতিসংঘের ফাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের টেকনিক্যাল টিম। দুপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা জানান সফররত দলটির প্রধান। আর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘকে তদন্তে সহায়তা দিতে প্রস্তুত অন্তর্বর্তী সরকার।