অন্য সব খেলা
এখন মাঠে
0

আয়োজক না হয়েও কারাতে ফেডারেশনের ক্ষতি সাড়ে ২৫ লাখ টাকা

কমনওয়েলথ কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজক না হয়েও সাড়ে ২৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের। চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুতে দেশে আয়োজনের কথা থাকলেও পরবর্তীতে রাজনৈতিক প্রক্ষাপট পরিবর্তনে আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা হলে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচে বিপাকে ফেডারেশনটি। আসরে খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

দেশের বেশিরভাগ ফেডারেশনেরই 'নুন আনতে পান্তা ফুরায়' অবস্থা। অর্থনৈতিক দিক থেকে সাবলম্বী নয় এমন ফেডারেশনগুলোকে তাকিয়ে থাকতে হয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বরাদ্দকৃত বাজেটের দিকে। বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনেরও একই দশা। এনএসসির দেয়া অর্থেই চলে ফেডারেশনের যাবতীয় কার্যক্রম।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে কারাতে বরাদ্দ ছিলো ৫২ লাখ টাকা। এরমধ্যে দাপ্তরিক খরচের জন্য রাখা হয় ৯ লাখ টাকা। বাকি ৪৩ লাখ টাকা প্রতিযোগিতা আর খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়।

খেলাটিতে উল্লেখযোগ্য কোন অর্জন না থাকায় স্পন্সরশিপের জন্য খুব বেশি আগ্রহ দেখায় না প্রতিষ্ঠানগুলো। এমন পরিস্থিতিতে বড় কোনো আসরের আয়োজক হওয়া অনেকটা দু:স্বপ্নই বটে। তবু কমনওয়েলথ কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে সব আশা নিমিষেই শেষ!

২৫ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ৩২টি দেশের অংশগ্রহণে ঢাকায় কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। প্রতিযোগিতা আয়োজনে প্রস্তুতির ৮০ শতাংশ কাজও শেষ করে কারাতে ফেডারেশন। এর মধ্যে কারাতে ম্যাট আনা থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের বাছাই, রেফারির প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য খাতে খরচ হয় ২৫ লাখ টাকার বেশি।

তবে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় জুলাইয়ে আসরটি সরিয়ে নেয়া হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। এ কারণে বিশাল অঙ্কের লোকসানে পড়ে ফেডারেশনটি। এখন আসরে অংশগ্রহণ নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।

বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নয়না চৌধুরী বলেন, 'জুলাই এর ২৪তারিখে মেইল আসছে কিন্তু আমরা পায় নাই কারণ তখন ইন্টারনেটের সমস্যা চলছিল। ২৯ তারিখে বিকেলে যখন আমরা মেইলটা দেখেছি সাথে সাথেই আমরা ৩০ তারিখে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে জানায়েছি যে আমরা এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। উনারাও এই বিষয় নিয়ে আর কিছু বলেনি।'

বড় এই আসর আয়োজনের ডামাডোলে কার্যত বন্ধ হয়ে ফেডারেশনের বাকি কার্যক্রম। বিকেএসপির অর্থায়নে চলতি বছর আন্তর্জাতিক দুটি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করলেও জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজনে অমনোযোগী ছিল ফেডারেশনটি। এতে ফেডারেশনের 'আমও গেলো ছালাও গেলো' অবস্থা।

বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশন কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'তখন ব্যস্ত থাকার কারণে জাতীয় প্রতিযোগীতা করতে পারেনি। তবে জাতীয় প্রতিযোগীতার জন্য নভেম্বরে তারিখ নির্ধারণ করেছি।'

সঠিক পরিকল্পনার অভাবে প্রায় দুই যুগ পেরোনো ফেডারেশনটি আন্তর্জাতিক অঙ্গণে তেমন কোন সাফল্যের দেখা পায়নি। এরমধ্যে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ হারানোটা 'মরার ওপর খাড়ার ঘা' হয়ে দাঁড়িয়েছে ফেডারেশনের জন্য।

এফএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর