তীর-ধনুকে নিজের কারিশমায় দেখিয়েছেন অনেক কীর্তি। ধীরে ধীরে দেশ ও দেশের বাইরে আর্চারিতে নিজের নাম প্রতিষ্ঠিত করেছেন রোমান সানা। হঠাৎ করে ৩ মার্চ দেশসেরা আর্চারের অবসরের ঘটনায় তোলপাড় ক্রীড়া দুনিয়ায়। এরপরই সানাকে 'মানসিকভাবে অসুস্থ' বলা নিয়ে আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্যে নতুন মাত্রা যোগ হয়।
এ নিয়ে কোনো বিরুপ প্রতিক্রিয়া না জানালেও সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আর্চার সানা।
সাবেক আর্চার রোমান সানা বলেন, ‘আমি আশা রাখি, স্যার আমার দুঃখ, কষ্টগুলো শুনবেন। নিউজের মাধ্যমে শুনেছি, স্যার আমার সঙ্গে বসতে চান। আমিও সে আশাতেই অপেক্ষা করছি।’
তীর-ধনুক তুলে রেখেছেন বেশিদিন হয়নি। এর মধ্যে আবারও লক্ষ্যভেদ করতে কোর্টে নামতে চান রোমান সানা। তবে এবার আর একই ভুল নয় পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকলেই ফিরবেন তিনি।
রোমান সানা আরও বলেন, আমি সবসময় খেলা নিয়ে পড়ে থাকি। আমি যতোদিন মাঠে ছিলাম, সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি। তাই সুযোগ-সুবিধা সম্মানজনক হলেই মাঠে ফিরবো।
তবে চাইলেও আর্চারিতে ফেরাটা সহজ হবে না সানার জন্য। এজন্য ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক।
আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন চপল বলেন, ‘তার ব্যবহারে ফেডারেশন খুবই দুঃখিত। কেননা, তার চাহিদাগুলো ফেডারেশনের কাছে একবার জানানোর দরকার ছিল। এক্সিকিউটিভ কমিটি যদি সিদ্ধান্ত নেয় তবেই সে ফিরতে পারবে। ফেডারেশনে একার কারো কিছু করার সুযোগ নেই আর করিও না।’
আন্তর্জাতিক ইভেন্টে দেশের হয়ে লড়াই করার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন ফেডারেশন ও আর্চারের এমন আচরণ হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেন ক্রীড়া বিশ্লেষকরা।
রোমান সানার অবসর নেয়ার ঘোষণার প্রভাব আর্চারিতে পড়েছে। বিশ্বমঞ্চে অংশ নিয়ে যখন পদক জয়ের পালা তখন আর্চারের সরে আসা অর্জনের হিসেবে শূন্যের কোটায় পড়ে থাকার দুশ্চিন্তাই বাড়ায়।