আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু। সত্তর কিংবা আশির দশকে বাংলাদেশের সোনালী সময়ের সাক্ষী। বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোল আর একমাত্র হ্যাটট্রিকের মালিক চুন্নু। স্মৃতির পাতা হাতড়েও মনে করতে পারলেন না, ঠিক কবে শেষ সময়ে গোল হজম করে ম্যাচ হাতছাড়া করেছিল সেই সময়ের বাংলাদেশ।
তবে, বর্তমান ফুটবল ভক্তদের জন্য এই চিত্রটাই সবচেয়ে পরিচিত। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ১০ ম্যাচে ৮০ মিনিটের পর গোল খেয়ে ম্যাচে ড্র কিংবা হারের মুখ দেখেছে বাংলাদেশ। শেষ সময়ে ফুটবলাররা ব্যর্থ হচ্ছেন নিজেদের স্বাভাবিক খেলা ধরে রাখতে। কখনো বা চাপের মুখে ভেঙে পড়ছেন গোলরক্ষকরা। জাতীয় দলের সাবেক গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্য কোচ ক্যাবরেরার সঙ্গে কাজ করেছেন দুই বছর। জানালেন, স্প্যানিশ কোচের দর্শন নিয়ে।
বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক গোলরক্ষক এবং কোচ বিপ্লব ভট্টাচার্য বলেন, ‘একজন কোচ হিসেবে তিনি কন্টিনিউয়াস খেলোয়াড়দের সব ব্রিফই করছেন। সবচেয়ে বড় কথা খেলোয়াড়রা যদি মাঠে নিজেদের সম্পূর্ণ মনোযোগ ধরে রাখতে না পারে, ট্যাক্টিকেলি আমাদের অনেক কিছু হিসেব করতে হয় একজন খেলোয়াড় হিসেবে এবং কোচও আমাদের সেভাবে বলে দিতো।’
বিপ্লব ভট্টাচার্য অবশ্য বলছেন, এমন সময়ে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব নিতে হবে গোলরক্ষকদেরই। আর একসময়ের আলোচিত স্ট্রাইকার আশরাফ উদ্দিন চুন্নু দেখছেন ম্যান মার্কিংয়ের দুর্বলতা।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক ফুটবলার আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু বলেন, ‘ম্যান টু ম্যান মার্কিংটা জরুরি। শেষ ম্যাচে নেপালের বিরুদ্ধে যে ম্যাচটা খেলেছে সেখানে ফরমেশনের জন্য গোলটা খেয়েছে।’
দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার চুন্নু অবশ্য সংকট কাটাতে বড় পরিসরে কাজ করার পক্ষপাতী। প্রবাসী ফুটবলারদের সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি মানসম্মত ফুটবলার তৈরি করে সংকট সমাধানের পক্ষে কিংবদন্তি এই স্ট্রাইকার।
বিপ্লব ভট্টাচার্য বলেন, ‘কর্নার, ফ্রি-কিক এবং ডেঞ্জারাস এড়িয়া থেকে যে গোলগুলো আসতো একজন গোলরক্ষক হিসেবে তখন প্রতিটা খেলোয়াড়কে মার্ক করতে হয়। ওইসময় একজন গোলরক্ষককে কোচ হয়ে যেতে হবে।’
আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু বলেন, ‘আজ একবছর হয়েছে কমিটি হয়েছে। একটা জেলা ফুটবল চালু করেছে তারা? একটা উপজেলা ফুটবল চালু করেছে? দেশিয় ফুটবলারদের তৈরি করতে হবে। এখান থেকে আরও ভালো ভালো ফুটবলারদের তৈরি করে আমরা বের করে নিয়ে আসবো। সে লক্ষ্যে কিন্তু তারা কাজ করছে না।’
ভারত ম্যাচের আগে বাংলাদেশের ফুটবলে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা শেষ দশ মিনিট। গোল স্কোরিং সমস্যার সমাধান হয়ে এসেছেন হামজা-শমিতরা। তবে, রক্ষণের চিরায়ত এই অভ্যাস কাটিয়ে তোলা এখন ক্যাবরেরা আর দেশের ফুটবলের জন্য চ্যালেঞ্জের নাম।





