এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে ১৮ নভেম্বর ঘরের মাঠে পঞ্চম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে ১৩ নভেম্বর আফগানদের বিপক্ষে খেলার কথা থাকলেও বাতিল হয় ম্যাচ। আফগানদের পরিবর্তে নেপালের বিপক্ষে খেলেন ক্যাবরেরা শিষ্যরা। কিন্তু হামজা ছাড়া হতাশ করেছেন দলের বাকি খেলোয়াড়রা। নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি আর কেউই!
প্রথমার্ধে এক গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে হামজা জাদুতে ২-১ ব্যবধানে লিড পেলেও শেষ মুহূর্তের গোলে আবার ও জয় বঞ্চিত জামাল-তপুরা। কিন্তু তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েও প্রীতি ম্যাচে পাওয়া হলো না কাঙ্ক্ষিত জয়। কোচিং প্যানেলের অদূরদর্শিতা ও সাথে খেলোয়াড়দের দুর্বল পারফরম্যান্সের খেসারত দিলো টিম বাংলাদেশ।
এমিলি বলেন, ‘একজন ভালো কোচ একজন খারাপ খেলোয়াড়কে ভালো খেলাতে সাহায্য করে। একজন খারাপ কোচ একজন ভালো খোলোয়াড়ের খেলাটা নষ্ট করতে পারে। সুতরাং কোচ ইজ দ্যা মেইন ম্যান। আমার মনে হয় দলটাকে প্রোপার হ্যান্ডেল করতে পারছে না। কোন সিস্টেম অব প্লে তে খেলবে, সেটা সে এনও অ্যাডাপ্ট করতে পারেনি আজকে চার বছর হয়ে গিয়েছে।’
২০২১ সালের পর থেকে ১০ ম্যাচে ৮০ মিনিটের পর গোল খেয়েছে লাল-সবুজরা। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুর, হংকং ম্যাচের পর সর্বশেষ নেপালের বিপক্ষেও শেষ মুহূর্তে হজম করেছে গোল। জাহিদ হোসেন এমিলির মতে খেলোয়াড়দের মানসিক দুর্বলতা ও মানহীনতা এর মূল কারণ।
আরও পড়ুন:
এমিলি বলেন, ‘আমাদের হামজা চৌধুরী ছাড়া বাকি যে খেলোয়াড়গুলো রয়েছে, শামিত সোম বা দুই একজন খেলোয়াড় ছাড়া বাকিদের মনোযোগ পুরো ৯০ মিনিট কখনোই ছিল না। স্পেশালি এ দলটার একদমই নেই। আপনার কাছে যখন কোয়ালিটি রিসোর্স না থাকবে, তখন আপনি কিন্তু এ ধরনের সার্ভাইব করতেই থাকবেন।’
পুরো এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে দল নিয়ে কোচের পরীক্ষা নিরীক্ষা ছিলো সমালোচিত। নেপাল ম্যাচেও কোচের পরিকল্পনায় ছিলো ঘাটতি। সাবেক অধিনায়ক এমিলির কণ্ঠে ঝড়লো একরাশ হতাশা।
জাহিদ হোসেন এমিলি বলেন, ‘কোচের একটা নির্দেশনা দেয়া উচিত ছিল যে, মোর প্রেসিং করে, অ্যাটাকিং করে আরও গোল দেয়া যায় কি না। কারণ ওইসময় কিন্তু নেপাল দুর্দান্ত প্রেসারে ছিল। কিন্তু আপনি খন ২-১ এ লিডে গিয়েছেন, তখন আপনি আপনার ডিফেন্সিভ জোনে চলে গিয়েছেন। তারমানে আপনি তাদের অ্যাটাক করার জন্য সুযোগ দিয়েছেন।’
নেপালের বিপক্ষে ড্র ম্যাচ কার্যত হারের সমতুল্য। ১৮ নভেম্বর হোম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয় না পেলে আরও একবার হতাশায় ডুববে ফুটবলপ্রেমীরা। দলে হামজা-শোমিতদের উপর নির্ভরতা কমিয়ে বাকিদের থেকেও আক্রমণাত্মক ফুটবল আশা করেন এমিলি।





