ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দ্বৈরথ এল ক্লাসিকোর শেষ ৪ ম্যাচের ফলাফল। গেল মৌসুমে ৪ ক্লাসিকোর সবগুলোই জিতেছিল বার্সেলোনা। আর তাই প্রতিশোধ নিতে যেন উন্মুখ হয়ে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সুযোগ পেয়ে তা যথাযথভাবেই কাজে লাগিয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোয় বার্সেলোনার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে ব্যবধানটা আরও বাড়িয়ে নিয়েছে এমবাপ্পে-বেলিংহামরা।
কাগজে-কলমে এদিন বার্সেলোনা ছিল কিছুটা দুর্বল। কার্ডজনিত নিষেধাজ্ঞায় ডাগআউটে নেই কোচ হানসি ফ্লিক। মূল গোলরক্ষক এরিক গার্সিয়া থেকে শুরু করে ফরোয়ার্ড লেভানদোস্কি ও রাফিনহা ইনজুরিতে। মিডফিল্ডে নেই ওলমো, গাভি। কাতালানদের ডিফেন্স তো চলতি মৌসুমে ইউরোপেরই অন্যতম দুর্বল।
আরও পড়ুন:
অবশ্য ম্যাচের আগে কথার লড়াইয়ে বার্সাই ছিল এগিয়ে। লামিনে ইয়ামালও নিজেদের এগিয়ে রেখেছিলেন। এছাড়া খেলোয়াড় হিসেবে কখনো এল ক্লাসিকোতে জয়ের দেখা পাননি রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো। তাই সবমিলিয়ে চ্যালেঞ্জটা একটু বেশিই ছিল রিয়ালের ওপর।
তবে, খেলা শুরু পর রিয়াল নয়, চাপে ছিল বার্সেলোনাই। ম্যাচের ১২ মিনিটে বল জালে জড়ান কিলিয়ান এমবাপ্পে। ভিএআরে সেটি বাতিল হলেও ১০ মিনিট পর ঠিকই স্কোরশিটে নাম তোলেন তিনি। পরের সময়টায় রিয়াল আরো কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরি করলেও প্রতিবারই বাধা হয়ে দাঁড়ান বার্সা গোলকিপার ভয়চেক শেজনি।
৩৮ মিনিটে ফারমিন লোপেজের গোলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় বার্সেলোনা। তবে ৫ মিনিট পরই আবার রিয়ালকে লিড এনে দেন জুড বেলিংহাম। এর মাধ্যম ২১ শতকে এল ক্লাসিকোয় গোল করা কনিষ্ঠ খেলোয়াড়ের রেকর্ড গড়েন তিনি। প্রথমার্ধে রিয়ালের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পাস খেলে বার্সেলোনা। বিপরীতে অন টার্গেট শট ছিল অর্ধেক, গোল হজম করেছে দ্বিগুণ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এরিক গার্সিয়ার হ্যান্ডবলে পেনাল্টি পায় রিয়াল। এমবাপ্পের শট আটকে বার্সাকে এ যাত্রায় আরও একবার বাঁচিয়ে দেন শেজনি। ৫৩ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও তা হেলায় হারান ফারমিন। বাকি সময় রিয়াল আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানের জয়ে ৫ পয়েন্ট ব্যবধানে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানটা আরও সুসংহত করলো লস ব্লাঙ্কোসরা। সেই সাথে বার্সাকেও যেন মৌসুমের বাকি পথের জন্য শক্ত বার্তা দিলেন এমবাপ্পেরা।





