দেশের ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যে আবারো আসছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন নির্বাচন। ১৬ বছর সভাপতি পদে থাকা কাজী সালাউদ্দিনের পর নতুন দায়িত্ব নিতে তোড়জোড় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি প্রার্থী তাবিথ আওয়ালের।
ফুটবলাররা যদি উন্নয়নের বাহক হয় তাহলে তাদের তৈরি করার মূল দায়িত্বটাই থাকে দেশিয় কোচদের। তবে দেশের ফুটবলে বরাবরই উপেক্ষিত তারা। আসন্ন নির্বাচনে তাই কোচদের রয়েছে বেশকিছু চাহিদা। বিশেষ করে কাজ করার পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি আর্থিক উন্নয়নের দাবি তাদের।
সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল কোচরাই হচ্ছে একটা টিমের মূল। কোচরা যে বিভিন্ন ক্লাবে কাজ করে সেখানে দেখা যায় কোনো কন্টাক্ট থাকে না। কিন্তু যদি পরিবেশ ভালো থাকে আর কোনো অফার পাই তাহলে চিন্তাভাবনা করবো।’
কোচদের চাহিদাগুলো বেশ যৌক্তিক, বলছেন নির্বাচনের প্রার্থীরা। বাফুফের দায়িত্ব পেলে এগুলো নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন তারা।
বাফুফের সহ-সভাপতি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘পেশাদারিত্ব কিছু কিছু কোচের আছে আবার কিছু কিছু কোচের নাই। যদি পেশাদারিত্ব না আনতে পারে তাহলে কোচ এবং ক্লাব সবসময় একটা দ্বন্দ্বে থেকে যাবে। কিন্তু আমি মনে করি কোচদের সবসময় স্বাধীনতা থাকা উচিত।’
বাফুফের সভাপতি প্রার্থী তাবিথ আওয়াল বলেন, ‘কোচরা আমাকে বলেছে যন্ত্রাংশের ব্যাপারে, ফিল্ডের ব্যাপারে, দক্ষতা বাড়ানোর বিষয়ে। সবগুলোই আমি শুনে নিয়েছি, আমলে নিয়েছি , প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে সববিষয়ে আমি কাজ করবো।’
আগামী ২৬ অক্টোবর জানা যাবে কারা হবেন বাফুফের পরবর্তী নীতিনির্ধারক। তারপর দেখার অপেক্ষা কোনদিকে যাবে দেশিয় কোচদের ভবিষ্যৎ।