গেল বছর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানকে স্পোর্টসের যৌথ উদ্যোগে প্রথমবার হওয়ার কথা ছিল নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। এজন্য পাঁচতারকা হোটেলে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে লিগের নাম ঘোষণা করা হয়। যেখানে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে দেশ-বিদেশের শোবিজ অঙ্গনের তারকাদেরও আনা হয়।
আরেকবার জমকালো আয়োজনে সেই লিগের বল, লোগো আর ট্রফিও উন্মোচন করা হলো। তবে, আয়োজকরা কয়েক দফা তারিখ দিলেও আলোর মুখ দেখেনি নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। মাঠে না গড়ানোয় বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বল ঠেলে দিয়েছিলেন কে স্পোর্টসের প্রধান নির্বাহী ফাহাদ করিমের কোর্টে।
মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, 'এটা তো আমাদের কাছে থাকার কথা না। এটা কে স্পোর্টসের কাছে থাকার কথা । আপনি ফাহাদ সাহেবের সাথে কথা বলেন। এটা নিয়ে তো আমি কথা বলবো না । এটা নিয়ে কথা বলবেন ফাহাদ ভাই। আপনি ওনার সাথে কথা বলেন, ঠিক আছে?'
নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আয়োজনে ব্যর্থ হওয়া সেই ফাহাদ করিমই হতে চান বাফুফে সহ-সভাপতি। আসন্ন নির্বাচনের জন্য কিনেছেন মনোনয়নপত্র। বলছেন নির্বাচিত হলে নারী ফুটবল নিয়ে কাজ করার কথা।
বাফুফে নির্বাচনের সহ-সভাপতি প্রার্থী ফাহাদ করিম বলেন, 'নারী ফুটবল নিয়ে কিছু কাজ করতে চাই। প্রপার লিগ স্ট্রাকচার করতে চাই। ফুটবলের শেষ ১০ থেকে ১৫ বছরে মেজর সাফল্য কিন্তু নারীরাই দিয়েছে। সেজন্য আমি মনে করি তারা একটা প্রপার লিগ ডিজার্ভ করে। সে বিষয়ে কাজ করতে চাই।'
২০২৩ সালে কয়েকবার তারিখ দেয়ার পরও ঠিক কী কারণে লিগ মাঠে গড়ায়নি জানতে চাওয়া হয়েছিল তার কাছে। এই প্রশ্নের জবাবে ফাহাদ করিম বলেন, 'আমরা করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ম্যাক্র ইকোনোমিক সিচুয়েশন এবং রাজনৈতিক অবস্থা আমাদের পক্ষে ছিল না। এজন্য আমাদের প্ল্যান ছিল জাতীয় নির্বাচন হওয়ার পর এ বছর আমরা এটা করবো।'
এই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কর্তা কী কারণে বাফুফে সহ-সভাপতি হতে চান? দেশের ফুটবলের উন্নয়ন নাকি ব্যবসায়িক স্বার্থ? উত্তরটা ভবিষ্যতের জন্য তোলা রইলো।