পুরো দেশ যখন হামজা চৌধুরীকে বরণ করে নিতে ব্যস্ত। আর এই উৎসবের মধ্যেই আকস্মিক ধাক্কা দেয়ার মতো খবর। খবরের হেডলাইন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে স্কোয়াডে নেই ফাহমিদুল। কন্ডিশনিং ক্যাম্প শেষে দেশের ফেরার সময় কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা সংবাদ মাধ্যমে একথা বলার পর থেকেই প্রতিবাদ জানায় ফুটবল সমর্থকদের একাংশ। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নেমে আসে রাস্তায়।
সমর্থকদের মধ্যে একজন বলেন, 'এখানে ফাহমিদুল অনেকটা কনফার্ম ছিল। সেখানে ফাহমিদুলকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বের করা হয়েছে। আর এর আগে ফাহমিদুলের মতো অনেক প্রবাসী ফুটবলার যারা আছে তারাও সিন্ডিকেটের কারণে বাইরে। এই আন্দোলন যে শুধু ফাহমিদুলকে ইস্যু করে সেটা না। এটা মূলত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।'
সমর্থকদের আন্দোলনের তোপে পড়ে কোচ কাবরেরাকে ফাহমিদুলকে কেন স্কোয়াডে রাখা হয়নি সেই ব্যাখ্যা দিতে হয়।
হ্যাভিয়ের কাবরেরা বলেন, 'ফাহমিদুল এক সপ্তাহ কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ছিল। জাতীয় দলের সাথে সে অনুশীলন করার সুযোগও পেয়েছে। আমরাও তাকে আরও ভালোভাবে জেনেছি। তবে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে আমার মনে হয়েছে জাতীয় দলে আসার জন্য তার আরও সময় প্রয়োজন।'
কোচের সঙ্গে সুর মেলান জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও।
তিনি বলেন, 'ফাহমিদুল আসলে ভালো অনুশীলন করেছে। কিন্তু কোচ যেটা বলেছে সেটাও সত্য। সেজন্য সেটাকে তো সম্মান করতে হবে।'
সমর্থকদের অনড় অবস্থানের মুখে ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। আন্দোলনকারীদের সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেন উপদেষ্টা। কোচের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানান বাফুফে প্রধান ও উপদেষ্টা।
তাবিথ আউয়াল বলেন, 'ফাহমিদুলের সিদ্ধান্ত তো আমাদের কোচ দিয়েছে। কোচ যে স্কোয়াড দিয়েছে সেটা নিয়েই আমরা ভারতের সাথে খেলতে চাচ্ছি। সেই স্কোয়াড র ম্যাচের পরই ফোকাস থাকি মরা। আমাদের ২৩ জনের স্কোয়াড অলরেডি ডিক্লেয়ার হয়ে গেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা প্রেসকে জানিয়ে দিবো। সেটাতে এবারের জন্য ফাহমিদুল নেই।'
অবশ্য ভারতের বিপক্ষে দলে না রাখলেও ফাহমিদুল ইসলামকে জাতীয় দলের রাডারেই রাখতে চান বলে জানিয়েছেন জাতীয় দলের কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা।