বাফুফেতে কাজী সালাউদ্দিনের ১৬ বছরের আমলনামায় বড় সাফল্য বলতে প্রথমবার জাতীয় নারী ফুটবল দলের সাফ জয়। সাবিনা-সানজিদাদের দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব লাভের নেপথ্য কারিগর কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।
তাঁর ক্ষুরধার ফুটবল টেকনিকে ২০২২ সালে অপরাজিত থেকে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশের নারীরা। অথচ অভিজ্ঞ এই কোচকে বাফুফের তরফ থেকে তেমন মূল্যায়নই করা হতো না। নারী ফুটবলে সাফল্যের জন্য ছোটনের বদলে সাবেক টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলিকে ক্রেডিট দিতেন স্বয়ং বাফুফে সভাপতি। তারপরও দেশের স্বার্থে সাবিনাদের কোচের দায়িত্বে পালন করে যেতে চেয়েছিলেন ছোটন।
তবে চুক্তির মেয়াদ শেষের ৭ মাস আগেই হুট করে চাকরি ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি। তখন ক্লান্তির বিষয়টি সামনে এনে পদ ছাড়লেও লম্বা সময় পর মূল কারণটা জানালেন ছোটন। বলেন, 'আমাদের সময় টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি ছিল । উনি প্রতিটি কাজে ঝামেলা করতো। ফ্রিভাবে কাজটা করতে দিতো না। ওই খানে আমি কোনো পরিবেশ পাই নাই যার কারণে আমি চলে আসছি।'
এরইমধ্যে বাফুফে নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। পল স্মলিও চাকরি ছেড়েছেন গেল বছর। সুযোগ পেলে আবারও নারী ফুটবল দলের কোচ হবেন কিনা জানতে চাওয়া হয়েছিল তার কাছে।
গোলাম রব্বানী ছোটন জানান, 'দেশের জন্য কাজ করাতো অবশ্যই গর্বের বিষয়। যদি এমন কোনো সুযোগ হয়, তাহলে যেই পরিবেশ থেকে চলে আসছি তার থেকে যদি ভালো পরিবেশ হয় তাহলে চিন্তাভাবনা করবো।'
প্রথমবার সাফের শিরোপা জেতার পর বিদেশি দলগুলোর সাথে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট তো দূরে থাক, ফিফা উইন্ডোতে নারীদের জন্য নিয়মিত প্রীতি ম্যাচই আয়োজন করতে পারেনি বাফুফে। যে কারণে আসন্ন নারী সাফে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের প্রস্তুতি নিয়ে হতাশ সাবেক কোচ।
গোলাম রব্বানী ছোটনের কথায় পরিষ্কার, এবছর নারী সাফে শিরোপা ধরে রাখা কঠিন হবে বাংলাদেশের জন্য।