ইউরোপিয়ান ফুটবলে দলবদলের বাজারে খরচের হিসেবে আধিপত্য শীর্ষ ক্লাবগুলোর। কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ব্যয়ে বিশ্বমানের খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়ে মাঠে নামার আগেই প্রতিযোগিতায় অনেক এগিয়ে যায় ক্লাবগুলো।
বিশেষ করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের জমজমাট আসরকে আরও বেশি রোমাঞ্চকর বানাতে ক্লাবগুলোর মিলিয়ন মিলিয়ন অর্থ ঢালার প্রচলন আরও বেশি। প্রতি দলবদলে ম্যানচেস্টার সিটি, ইউনাইটেড, লিভারপুলের মতো জায়ান্ট ক্লাবগুলোর অঢেল অর্থ খরচ করে থাকে। উল্টো দিকে আয় কম হওয়ায় পাল্লা দিয়ে নামিদামি খেলোয়াড় কিনতে পারে না অপেক্ষাকৃত দুর্বল ক্লাবগুলো। ফলে শীর্ষসারির দলগুলোর সঙ্গে বড় দূরত্ব তৈরি হয় নিচুসারির দলগুলোর।
তবে এই বৈষম্য দূরীকরণে এবার উদ্যোগ নিচ্ছে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ। প্রস্তাব হয়েছে নতুন আর্থিক নীতি। যেখানে সবচেয়ে কম আয়কে ধরা হবে ব্যয়ের ভিত্তি হিসেবে। অর্থাৎ নিচের সারির দলের টিভি সম্প্রচারস্বত্ব এবং অন্যান্য বানিজ্যিক আয়ের অনুপাতে খরচের হিসেব দাঁড়াবে সবগুলো ক্লাবের। আসন্ন জুনে লিগের এজিএমে প্রস্তাবিত নীতিটি অনুমোদন পেলেই আইনে রুপ নেবে এটি।
বর্তমান আর্থিক নীতি অনুযায়ী কোনো ক্লাব তাদের আয়ের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত দলবদলে খরচ করতে পারবে। তবে স্পেন্ডিং ক্যাপ নামে নতুন নিয়মনীতিতে ২০ শতাংশ কমিয়ে তা করা হয়েছে ৭০ শতাংশ।
এরইমধ্যে প্রস্তাবিত নীতি নিয়ে ক্লাবগুলোর মতামত চাওয়া হয়েছে। যেখানে অংশগ্রহণকারী ২০ ক্লাবের মধ্যে ১৬টিই ভোট দিয়েছে প্রস্তাবিত নীতিটির পক্ষে। তবে বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাবসহ অ্যাস্টন ভিলা। ভোটদান থেকে বিরত ছিল চেলসি।
শেষপর্যন্ত নতুন এই আর্থিক নীতি প্রণয়ন হলে কমে আসবে দলগুলোর মধ্যে শক্তিমত্তার পার্থক্য। তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরো বাড়বে, আরও জমে উঠবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ।