ফুটবল
এখন মাঠে
0

এ বছরের মাঝামাঝিতে সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ

প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের পরিকল্পনা। ক্লাবগুলোর ঘরোয়া ব্যস্ততা আর স্পন্সরের সংকটে এখন পর্যন্ত মাঠে গড়ায়নি টুর্নামেন্টটি। তবে দীর্ঘদিন পর হলেও আলোর মুখ দেখার অপেক্ষায় এ আসর। এ বছরের মাঝামাঝিতে মাঠে গড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ক্লাব পাড়ার সেরাদের নিয়ে টুর্নামেন্ট সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ। দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে আয়োজন নিয়ে কত শত পরিকল্পনা। তবে কথা চললেও আয়োজনে খুব একটা অগ্রগতি নেই সাফ কর্তৃপক্ষের। ক্লাব ফুটবলের ঘরোয়া ব্যস্ততা আর স্পন্সরের অভাবে মাঠে গড়ায়নি টুর্নামেন্টটি।

তবে দেরিতে হলেও এবার হয়তো সেসব সমস্যা অতিক্রম করার পথ খুঁজে পেয়েছেন আয়োজকরা। এ বছরের মাঝামাঝিতে আলোর মুখ দেখার অপেক্ষায় টুর্নামেন্টটি। আয়োজনে বিশাল অংকের অর্থ ব্যয় করবে সাফ।

আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, 'মার্কেটিং কোম্পানির সঙ্গে সব কথাবার্তা হয়েছে। প্রায় ১.৬ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে।'

সাত দেশের আটটি ক্লাব নিয়ে বসবে প্রথম আসর। নিয়ম অনুযায়ী দেশগুলোর ঘরোয়া ফুটবল লিগের শীর্ষে থাকা ক্লাবগুলো খেলতে পারবে সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে।

এমন একটা বিশাল টুর্নামেন্ট। যেখানে বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে খেলে আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতা অর্জন হবে খেলোয়াড়দের। তবে কেবল আন্তর্জাতিক আয়োজনই নয়, জাতীয় দলকে এগিয়ে নিতে স্থানীয় ফুটবলারদের দিকে বেশি মনোযোগ দেয়ার কথা বললেন মোহামেডান কোচ আলফাজ আহমেদ। বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েই টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ লুফে নিতে চান মোহামেডানের খেলোয়াড়রাও।

আলফাজ আহমেদ বলেন, 'এ টুর্নামেন্টটা খেললে অনেক খেলোয়াড় বেরিয়ে আসবে। প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে আগে থেকে বলা যায় না অবস্থান কী হবে। কিন্তু আমাদের ভালো অবস্থানের চেষ্টা থাকবে।'

খসড়া বাজেট হলেও এখনও জানা যায়নি প্রাইজমানির পরিমাণ। কিংবা টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী আসরের পর্দা উঠবে কোন দেশে তাও অজানা। তবে সব জটিলতা শেষে শিগগিরই আয়োজনটি শুরু হোক, সেই আশায় সাফভুক্ত ৭ দেশের ক্লাবগুলো।