টাকার অংকে বনিবনা না হওয়াতে যে ক্লাবে থেকে লিওনেল মেসি হয়ে উঠা, সেই ক্লাব ছাড়তে হয়েছিল আর্জেন্টাইন ক্ষুদে যাদুকরকে। এই কথা সবারই জানা। এরপর বার্সেলোনার ইউরোপিয়ানে ফুটবলে পারফরম্যান্সের বিচারে হারিয়েছে স্পট লাইট।
২০২২-২৩ মৌসুমে লা-লিগা আর স্প্যানিশ সুপার কাপ জয় করা ক্লাবটি অনেকদিন অর্থসংকটে ভুগছে। যে অর্থের কারণে মেসির মতো খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিতে হয়েছিল সেই ব্যয় এখনো কমাতে পারেনি বার্সা। ২০২৩ এ ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি বেতন দিতে হয়েছে বার্সেলোনাকে।
উয়েফার প্রতিবেদনে সে বছর বার্সেলোনা বেতন বাবদ খরচ করেছে ৬৩ কোটি ৯০ লাখ ইউরো। গত ৫-৬ বছরের হিসেবে বার্সা মেসিকে ছেড়ে দিলেও দেম্বেলে, কুতিনিও, গ্রিজম্যানদের পেছনে মোটা অংকের বেতন বাবদ ব্যয় ক্লাবটিকে এখনো হিমশিম খেতে হচ্ছে।
উয়েফার প্রতিবেদনে বার্সেলোনার পরেই আছে কাতারের বিনিয়োগের ক্লাব পিএসজি। ২০২৩ সালে ক্লাবটির বেতন বাবদ ব্যয় ৬১ কোটি ৭০ লাখ ইউরো। তৃতীয় স্থানে আছে আরেক মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগে পরিচালিত ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। যাদের ব্যয় ৫৫ কোটি ৪০ লাখ ইউরো।
চতুর্থস্থানে আছে আরেক স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। বেতন বাবদ সেই বছর ক্লাবটি ব্যয় করেছে ৪৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। যদিও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে তাদের ব্যয়ের ব্যবধান চোখে পড়ার মতো। বার্সার থেকে ১৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা কম বেতনে সেই বছর ক্লাব পরিচালনা করেছে রিয়াল।
শীর্ষ ১০ এ এরপরের তালিকায় যথারীতি ইউরোপের জায়ান্ট ক্লাবগুলোর অবস্থান। তবে সেই প্রতিবেদনে সবথেকে দামি দলগঠন করা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বেতন বাবদ ব্যয় করেছে ৩৮ কোটি ১০ লাখ ইউরো। ম্যান ইউয়ের উপরে অবস্থান চেলসি, বায়ার্ন ও লিভারপুলের।
তবে ২০২৩ এ বার্সার বেতন বাবদ সবচেয়ে বেশি ব্যয় কিংবা ম্যানইউর সব থেকে দামি দল গঠন। এই দুইটির কোনটিতেই শীর্ষস্থানে না থাকলেও সফল্যের মুকুটটা ছিল সেই বছর ট্রেবল জয়ী ম্যানচেস্টার সিটির।