তবে কি আরও একবার বিতর্ক আর সমালোচনায় ঠাসা বিপিএল আয়োজনের পথেই হাঁটছে বিসিবি? দীর্ঘদিন পর দেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া ক্রিকেটের আসরে ফিরে আসছে নিলামের পদ্ধতি। তবে সেখানেও আছে জটিলতা আর শঙ্কা। নিলামের দিন ঘনিয়ে আসলেও বিসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে রেখে দিয়েছে অন্ধকারে।
নিলামের বাকি ৪দিন। তবে এখন পর্যন্ত খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করেনি বিসিবি। নিজেদের পরিকল্পনা সাজাতে তাই কিছুটা বেগ পেতেই হচ্ছে দলগুলোকে। সাধারণত ড্রাফটের খেলোয়াড়দের তালিকা আগেই প্রকাশ করে থাকে আয়োজকরা। যদিও এবার সময় ঘনিয়ে এলেও নেই কোনো খেলোয়াড় তালিকা। ফলে দল নিয়ে পরিকল্পনা সাজাতে জটিলতায় পড়তে হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে।
সিলেট টাইটান্স হেড কোচ সোহেল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখনো দেশি এবং ফরেন প্লেয়ারদের পূর্ণাঙ্গ লিস্ট হাতে পাইনি। তাই ৩০ তারিখে ড্রাফট আমাদের জন্য আসলেই চ্যালেঞ্জিং। সব টিমেরই একটি পরিকল্পনা থাকে কি করব। আর পাশাপাশি বাজেট বিষয়গুলো থাকে। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের জন্য একটু চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে।’
নিলামের তালিকা না পাওয়ায় একই অভিযোগ করেছেন রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের হেড কোচের পদে থাকা হান্নান সরকার।
আরও পড়ুন:
রাজশাহী ওয়ারিয়রর্স হেড কোচ হান্নান সরকার বলেন, ‘বিদেশি যে প্লেয়ারগুলোর নাম অপশনে এসেছে এ নামগুলো নিয়ে ওয়ার্ক করতে হবে। কারণ আমরা জানি বিদেশি দু’জন প্লেয়ার আমাদের অপশন থেকে নিতে হবে। এগুলো করার জন্য আমাকে সময় দিতে হবে। সেই সময় অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পার্ট থেকেই আসবে। তবে সব মিলিয়ে কিছু দুর্বলতাই দেখা যাচ্ছে।’
তবে নিলাম প্রক্রিয়ার মাঝেও মানসম্মত বিদেশি পাওয়া নিয়েও শঙ্কা আছে দেশি কোচ সোহেল ইসলামের। একইসময়ে অন্যান্য বিদেশি লিগের খেলা থাকায় নামী সব ক্রিকেটারদের পুরো আসরে পাওয়া যাবে কি না সেই প্রশ্নও আছে তার।
সিলেট টাইটান্স হেড কোচ সোহেল ইসলাম আরও বলেন, ‘কিছু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট চলছে, আমাদের জন্য খুবই কঠিন হয়ে যায় কাকে আমরা সাইন করাব। কে আসলে অ্যাভেলঅ্যাবেল থাকবে। কত তারিখ থেকে পারবে। এ বিষয়গুলো আসলেই চ্যালেঞ্জিং।’
সব ছাপিয়ে বিপিএল মাঠে গড়াবে নিজস্ব নিয়মেই। মাঠে আর মাঠের বাইরে থাকা সবার প্রত্যাশা, বিতর্ক এড়িয়েই চলবে বিপিএল। তবে বিসিবির কর্মকাণ্ডে শুরুর আগেই দেখা দিচ্ছে নানা প্রশ্ন। শেষ অব্দি বিসিবি কবে নিজেদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারবে সেটাও অনিশ্চিত।





