এ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আফগানরা। শুরুর ২০ ওভারের মধ্যেই আফগানি ৪ ব্যাটার ফিরে গেলেও একপাশ আগলে রেখে ধৈর্যশীল ব্যাটিং চালিয়ে যেতে থাকেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান।
এরপরেও বাংলাদেশি বোলারদের চাপে নিয়মিত বিরতিতে আফগানিস্তানের ব্যাটাররা তাদের উইকেট হারাতে থাকেন। তবে অন্য পাশে টিকে থেকে ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিতে থাকেন জাদরান, খেলেন ৯৫ রানের অনবদ্য এক ইনিংস।
তবে আফগানি অন্য ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২২ রান করে যোগ করেন মোহাম্মদ নবি ও গাজানফার। অন্যরা কেউ-ই সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। এতে আফগানিস্তানের ইনিংস থামে ১৯০ রানে।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে ৪২ রান খরচ করে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেছেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিব।
বোলারদের নৈপুণ্যে বাংলাদেশ পায় ১৯১ রানের লক্ষ্য, যা শুরুতে বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য বেশ সহজ বলেই মনে হচ্ছিল। তবে সহজ লক্ষ্যকে কীভাবে দুঃসাধ্য বানানো যায়, সেটাই হয়তো দেখিয়ে দিলো বাংলাদেশি ব্যাটাররা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যাওয়া-আসার মিছিলে মাত্র ৪০ রানে বাংলাদেশ হারায় ৩ উইকেট। এভাবেই উইকেট বিলিয়ে দেন বাকি ব্যাটাররাও। একের পর এক যাচ্ছেতাই ব্যাটিংয়ে ৭৯ রানে বাংলাদেশের উইকেট দাঁড়ায় ৫টি।
এরপর ৯৯ রানে গিয়ে ১ রান তুলতেই ৪ উইকেট পড়ে যায় বাংলাদেশের। ফলে সেখান থেকে ম্যাচে ফেরার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। বাকি ১ উইকেটও পড়ে যায় ১ ওভার পরেই। এতে সব উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের স্কোর ১০৯ রানে থেমে যায়, আফগানিস্তান জয় পায় ৮১ রানে।
আফগানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট তুলে নেন রশিদ খান। ৩ উইকেট তুলে রশিদকে সঙ্গ দেন আজমাতুল্লাহ ওমরজাই, ১টি উইকেট পান নাঙ্গেয়ালিয়া খারোটে। ইব্রাহিম জাদরানের সেই লড়াকু ৯৫ রানের ইনিংস তাকে পাইয়ে দেয় ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
এ জয়ে আফগানিস্তান ১ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিলো। আগামী ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশ শেষ ম্যাচটি খেলতে নামবে কেবল নিজেদের হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে।





