আবাহনী সাথে বিজয়ের দীর্ঘ যাত্রার সমাপ্তি! খালেদ মাহমুদ সুজনও একযুগ পর আবাহনী কোচের দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন, স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন নির্বাচক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হান্নান সরকার। সাবেক আর বর্তমানের স্বতঃফূর্ততাতেও অবশ্য ঢাকা পড়েনি ঐতিহ্যবাহী দলটির ভাঙা চেহারা। বাজেট স্বল্পতায় দাপুটে আবাহনীকে যে এবার চেনাই দায়।
আবাহনী লিমিটেডের কোচ হান্নান সরকার বলেন, ‘নাঈম শেখ, বিজয় আসলে প্রুভেন পারফর্মার। সেখান থেকে তাদের মিস করবো। দেশের প্রেক্ষাপটের সঙ্গে অনেক কিছুতেই পরিবর্তন এসেছে। প্লেয়ার যে ধরনের পেমেন্ট পায় সেখানে তাদের অনেক কম্প্রোমাইজ করতে হয়েছে। আবাহনীরও কিছুটা বাজেট কম্প্রোমাইজ করতে হয়েছে।’
আবাহনীর ক্রিকেটের মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলেন, ‘গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা তিন চারজন খেলোয়াড় আছি দলে। পরিস্থিতির কারণে আমরা বাকিদের রাখতে পারিনি। একটা বাজেটের বিষয় আছে। সব কিছু মিলিয়ে একটু ডিফিকাল্ট মনে হচ্ছে আমার কাছে।’
ডিপিএলে আবাহনী মানেই জাতীয় দলের ছায়া দল। একক আধিপত্যের উৎকৃষ্ট প্রমাণ বিগত চার আসরে তিন শিরোপা। কিন্তু এক বছরের ব্যবধানেই সেই বাস্তবতার সাক্ষী আবাহনী লিমিটেড। অবশ্য এখান থেকেও ঘুরে দাঁড়াতে চান তিনি।
হান্নান সরকার বলেন, ‘ক্রিকেট খেলায় আমি সব সময় নামে বিশ্বাস করতে চাই না। বড় নামের দিকে না ছুটে আমরা যদি রেজাল্টের দিকে ছোটার চেষ্টা করি তাহলে আমি মনে করি এখান থেকেও অনেকগুলো বড় নাম হয়ে যাবে।’
সময়ের পরিক্রমায় এবার উল্টে গেছে পাশার দান। তবে স্রোতের বিপরীতে থেকে গেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। সেটা দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে হোক বা পুরোনো লিগ্যাসির ধরে রাখার জন্যই হোক।
সার্বিক পরিস্থিতিতে যদিও আর্থিক অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তিনি। তবে প্রত্যাশা, বছরের ব্যবধানেই কেটে যাবে সকল অসঙ্গতি।
আবাহনী লিমিটেডে ক্রিকেটের মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সবাই একটা ইনসিকিউরিটির মধ্যে আছি। আশা করি যে সামনের বছর থেকে এই পেমেন্ট ইস্যু থেকে শুরু করে সব সমস্যা কাটিয়ে টিমগুলো আবার অর্গানাইজডভাবে আসবে।’
দীর্ঘ সময় পর আবাহনী আধিপত্য সংকটে থাকলেও মুদ্রার অন্য পিঠে আশার খবর বিগত আসরগুলোর তুলনায় এবার জমে উঠতে পারে ডিপিএল।