ক্রিকেটে আধিপত্যবাদী ভারতের পাকিস্তান সফরে আপত্তি, আইসিসির দ্বিধা, হাইব্রিড মডেলের ভাবনা; চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর মাঠে গড়ানোর আগে এসব নিয়েই যত আলোচনা। সঙ্গে টুর্নামেন্টের আগে সব ভেন্যু প্রস্তুত করতে পারবে কিনা পাকিস্তান, সেই শঙ্কা। তবে সব পেছনে ঠেলে অবশেষে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বের সেরা ৮ দলের লড়াই।
দীর্ঘ ৮ বছর পর মাঠে গড়াতে যাওয়া এ আসরে আগের চেয়ে ৫৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে প্রাইজমানি। চ্যাম্পিয়ন দল পাচ্ছে ৩০ কোটি টাকার কাছাকাছি। বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে থাকছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের ব্যবহার। আইসিসির ডিজিটাল প্লাটফর্মে যেটি মূলত ভক্তদের সঙ্গে বন্ধন সুদৃঢ় করতে ব্যবহার করা হবে।
পাকিস্তানে দীর্ঘ প্রায় ৩ দশক পর আয়োজন হচ্ছে আইসিসি আসরের। ক্রিকেট পাগল দেশটিতে তাই উৎসবের আমেজ। টিকিট নিয়ে নিশ্চয়ই কাড়াকাড়ি লাগবে করাচী, লাহোর কিংবা পিণ্ডিতে। একইসঙ্গে সবগুলো দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ভালোয় ভালোয় আসর শেষ করার চ্যালেঞ্জও থাকবে দেশটির সামনে।
তবে মাঠের ক্রিকেটে নিশ্চয়ই উজ্জীবিত থাকবে পাকিস্তান দল। স্বাগতিক সমর্থকদের সামনে বাবর-রিজওয়ানদের ট্রফি ধরে রাখার লড়াই। চেনা মাঠ, কন্ডিশন আর নিজেদের পক্ষে স্লোগান নিশ্চয়ই জেতার তাড়না বাড়াবে শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফদের।
উদ্বোধনী ম্যাচেই অবশ্য পাকিস্তানকে কড়া চ্যালেঞ্জ জানাবে নিউজিল্যান্ড। ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলার সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে অবস্থান করছে কিউইরা। এতদিনে যে বাতাস কেইন উইলিয়ামসনদের অনুকূলে চলে এসেছে তার প্রমাণ স্বাগতিকদের হারিয়ে ট্রাইনেশনের ফাইনাল জয়। চলতি মাসেই পাকিস্তানকে দুইবার হারানো কিউইরা চাইবে আরেকবার জিতে আসরে শুভসূচনা করতে।