ফাইনালে ওঠার লড়াইটা যেমন হওয়ার কথা ছিল, ঠিক তেমনই হলো। প্রতি মুহূর্ত উত্তেজনায় ঠাসা, একের পর এক নাটকীয় মোড়। শেষমেশ জয়টা চিটাগাং কিংসের, শিরোপার লড়াইয়ে বরিশালের সঙ্গীও তারা।
অথচ শেষ বলের আগপর্যন্তও ম্যাচ ছিল খুলনার হাতে। ইনজুরিতে মাঠ ছাড়া আলিসের রহস্য স্পিনের মত রহস্যজনকভাবে ম্যাচে ফিরে নায়ক বনে যাবার কথা কেই বা জানতো তখনও!
শুরুতে উইকেট হারালেও দুই পাক রিক্রুট খাজা নাফি আর হোসাইন তালাতের হাত ধরে সহজেই ম্যাচ জয়ের পথে ছিল চিটাগাং কিংস। দু'জনের ৭০ রানের জুটি ভাঙার পর, একে একে শামীম, মিঠুনরাও ফিরে গেলে, খেই হারিয়ে ফেলে দলটি।
তবু আরাফাত সানি-আলিস আল ইসলামরা হাল ছাড়েননি বলেই জয়ের বন্দরে চিটাগাং। শেষ ওভারে শরিফুলের একটা বাউন্ডারি হাঁকানোও যে জয়ের খোরাক জুগিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।
আসরজুড়ে জয়-হারের বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা খুলনা টাইগার্সের এদিনও একই দশা। পাওয়ার প্লেতেই নেই ৩ উইকেট। দলীয় ৪২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ক্রমেই কমে আসে রানের গতিও।
আসরে খুলনাকে ম্যাচের পর ম্যাচ টেনে তোলা মাহিদুল অঙ্কনের সঙ্গী হয়ে ক্যারিবিয়ান তারকা শিমরন হেইটমায়ার স্কোরবোর্ডে তোলেন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়ার মত পুঁজি। যে পুঁজিকে অবলম্বন করে শেষ বল পর্যন্ত লড়ে যায় খুলনা।