২৭ জানুয়ারি হোবার্ট হারিকেন্স ও সিডনি থান্ডারের ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামবে এবারের বিগব্যাশ লিগের। বিজয়ী দল পাবে ১ মিলিয়ন ডলার প্রাইজমানি। এছাড়া টুর্নামেন্টের শীর্ষ ৫ দল পাবে মোটা অঙ্কের পুরস্কার। তবে ফাইনালের আগেই পরের মৌসুমের ভাবনায় বিগব্যাশ কর্তৃপক্ষ।
ক্রিকেট অফিশিয়ালরা আলোচনা করছেন কীভাবে অস্ট্রেলিয়ার তারকা টেস্ট ক্রিকেটার ও জনপ্রিয় খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ বাড়ানো যায়। সেই লক্ষ্যে কাজ করছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বিগ ব্যাশের ১৫তম সংস্করণে আসছে বেশ কিছু নতুন নিয়ম।
রান আউটে আসছে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন। রান নিতে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসলে দুই প্রান্তে দুই ক্রিকেটারেরই সুযোগ থাকছে আউট হবার। এক বলেই আউট হতে পারেন দুই ব্যাটার। ৮ উইকেট পড়ে যাওয়া দলের ক্ষেত্রে যদি এমনটি হয় তবে টানা দুই রান আউটে ম্যাচ হারা দেখবে ক্রিকেট বিশ্ব।
এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা না এলেও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া মূলত বিগব্যাশে আরও প্রতিদ্বন্দিতা ও মানসম্পন্ন করতে আনছে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন। একই সাথে খেলার মান বাড়ানো ও খেলোয়াড়দের কাজের চাপ কমানোর কথাও ভাবছে তারা। আগামী জুলাই-আগস্ট মাসে আসতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
প্রত্যেক দলে একজন ব্যাটারের জন্য থাকবে বিশেষ সুবিধা। ফিল্ডিং করার ইচ্ছে নেই তো দরকার নেই। প্রতিপক্ষের বোলারদের তুলোধুনো করেই তিনি তার খেলা শেষ করতে পারবেন। এই বিশেষ ব্যাটারের পরিবর্তে মাঠে নামতে পারবেন ভিন্ন কোন ক্রিকেটার যিনি শুধু ফিল্ডিংই করবেন।
একপ্রান্ত থেকে টানা দুই ওভার বোলিং করার প্রস্তাবনা এনেছে কর্তৃপক্ষ। বোলারদের প্রান্ত বদলে ফিল্ডিংয়ে আসে পরিবর্তন। এতে নষ্ট হয় সময়। এই প্রান্ত পরিবর্তনের নিয়মে বদল এলে বেঁচে যাবে অর্ধেক সময়। ফিল্ডাররাও পাবেন বাড়তি শক্তি। যার ফলে ম্যাচ টাইমিংয়েও কমবে সময়।
ডট বল নিয়েও ভাবছে বিগ ব্যাশ কর্তৃপক্ষ। টানা ৬ বল ডট খেললে আউট হতে পারেন ব্যাটার। এছাড়া মেডেন ওভার করলে একজন বোলার পেতে পারেন অতিরিক্ত একটি ওভার।
সবকিছু বাস্তবে রূপ নিতে বাকি বেশ কিছু সময়। তবে বৈশ্বিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের বাজারে এমন পরিবর্তন খেলাটিকে করবে আরো আকর্ষণীয় ও ক্রিকেটারদের জন্য আনবে দারুণ কিছু চ্যালেঞ্জ।