মাঠে হঠাৎ সন্ত্রাসী হামলা। দর্শক খেলোয়াড়দের দিগ্বিদিক ছোটাছুটি। পরে সশস্ত্র সোয়াত সদস্যদের দূরদর্শী পদক্ষেপে ভেস্তে যায় পরিকল্পনা। তাদের সজাগ নিরাপত্তা বলয়ে উদ্ধার হয় সবাই। নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ আশ্রয়ে। সাময়িক আতঙ্ক ছড়ালেও মূলত এটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা দলের চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তা মহড়া।
আজ (রোববার, ২৭ অক্টোবর) বিকেলে বন্দরনগরীর জহুর আহাম্মদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এ নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। সোয়াত আর ডগ স্কোয়াডের দৃষ্টিনন্দন মহড়ায় প্রাণ পায় স্টেডিয়াম। এসময় পুরো মহড়া পরিদর্শন করেন নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ।
তিনি বলেন, ‘২৯ তারিখ থেকে অনুষ্ঠিতব্য সাউথ আফ্রিকা ক্রিকেট টিম ও বাংলাদেশ দলের মধ্যে যে টেস্ট ক্রিকেট খেলা হবে একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এ ম্যাচকে ঘিরে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করার জন্য দেখার জন্য এখানে এসেছি।’
পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, এটা আমাদের রুটিন প্রোগ্রাম। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের টুর্নামেন্টে আমরা এটা করে থাকি। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটা ব্রিফিং ও রিহার্সেল।’
মহড়া শেষে নগর পুলিশ কমিশনার জানান, নিরাপত্তা নিয়ে কোনো হুমকি নেই। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা চট্টগ্রাম থাকা অবস্থায় ৫ স্তরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউ থেকে জহুর আহাম্মদ স্টেডিয়াম পর্যন্ত যাতায়াতের ক্ষেত্রেও থাকবে কড়া নিরাপত্তা।
এদিকে মাঠে যখন মহড়া চলছে, অন্যপাশে বাংলাদেশ দল তখন অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছে। দুপুর ১টা থেকে মাঠে নামে শান্ত লিটন মমিনুলরা। এর আগে সকালে ফুরফুরে মেজাজে মাঠে ঘাম ঝরায় প্রোটিয়ারাও।
ঢাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হার দিয়ে সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ দল। ফলে দ্বিতীয় টেস্ট হবে টাইগারদের সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ। দুইদিন ঘাম ঝরানো অনুশীলনের মঙ্গলবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামবেন নাজমুল হোসেন শান্তর দল।